• সোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪

হতাশা নয় গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলবে- মুক্ত ফখরুল কহিলেন


প্রকাশিত: ৯:২৮ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২৪ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫২ বার

 

 

 সাড়ে তিন মাস পর জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটি সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টা ৩৮মিনিটে কেরানিগঞ্জ কারাগার থেকে তারা মুক্তি পান। একই দিন দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে কারামুক্ত হন বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিও। বিষয়টি জানান বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

কারাগারে মুক্তির সময়ে বিএনপি মহাসচিবকে আনতে তার সহধর্মিনী রাহাত আরা বেগম, বিএনপি মহাসচিবের একান্ত সহকারি ইউনুস আলী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। নেতৃদ্বয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে উপস্থিত হলে নেতাকর্মীরা ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে করতালি দিয়ে তাদের বরণ করে এবং বিভিন্ন শ্লোগান দিতে খাকে।

নেতাকর্মীদের অভিবাদন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, হতাশার কিছু নেই। বাংলাদেশের জনগণ সবসময় গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য, ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে। ইনশাল্লাহ্ এই সংগ্রামে তারা জয়ী হবে। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফেরানোর চলমান আন্দোলনে চূড়ান্ত বিজয় না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথাও দৃঢ়তার সঙ্গে উচ্চারণ করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, তাদের আন্দোলনের কোনো ক্ষতি হয়নি। তারা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন। ৭ জানুয়ারির একপাক্ষিক নির্বাচন করে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিএনপির কোনো ক্ষতি হয়নি।নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ওরা (আওয়ামী লীগ) রাষ্ট্রশক্তিকে কবজা করে ক্ষমতা দখল করেছে, বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা নির্বাচনে নৈতিকভাবে জনগণের কাছে পরাজিত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, গণতন্ত্রের আন্দোলন অটুট থাকবে। যতদিন দেশে গণতন্ত্র ফেরত না আসবে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না আসবে ততদিন এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
এদিকে কারামুক্তির পর শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, আামার বিশ^াস আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সকল নেতাকর্মীদেরকে, সকল রাজবন্দীদেরকে মুক্ত করার মধ্য দিয়ে এদেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করব এবং সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। এই দৃঢ় বিশ^াস আমাদের রয়েছে, দেশবাসীর রয়েছে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে তাইফুল ইসলাম টিপু, শামীমুর রহমান শামীম, নিপুণ রায় চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন আজাদ, সাবেক সাংসদ আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, ইসরাফিল খসরু চৌধুরী, শায়রুল কবির খানসহ অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের বিএনপির এ দুই জ্যেষ্ঠ নেতার জামিন মঞ্জুর করেন। এই মামলার জামিনের আগে আরো ১০টি মামলায় তাদের জামিন হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গুলশানের বাসভবন থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর প্রায় ৯ ঘণ্টা পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। ২ নভেম্বর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকেও গুলশানের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকেও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।