কেউ যদি তার মক্কেলের মামলা ‘নটপ্রেস’ করতে চাইলে আদালত সেটা গ্রহণ করেন। হাই কোর্টে ‘নটপ্রেস’ হওয়ার পর অন্য বেঞ্চে শুনানি করা গেলেও আপিল বিভাগে একবার ‘নটপ্রেস’ করলে সেই মামলা আর শুনানি করা যায় না।সে অনুসারে আওয়ামী লীগ নেতা হাজি সেলিমের এই মামলায় ‘নটপ্রেস’ আবেদন মঞ্জুর করলে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আর চলত না।
অন্য মামলায় উপস্থিত দুদকের অন্য আইনজীবী খুরশীদ আলম খানকে ডেকে আদালত বলে, এ ধরনের মামলার জন্য আমরা তো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। এই ধরনের মামলাগুলো হাই কোর্টে পুনরায় শুনানির জন্য পাঠাচ্ছি। এটার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেন হবে? বিষয়টা আপনি দুদককে জানান।
খুরশীদ আলম খান বলেন, আপিল বিভাগের একটি রায়ের নজির টেনে সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ না করে হাই কোর্ট রায় দিয়ে দিয়েছিল। আপিল বিভাগ বলছে, সাক্ষ্য-প্রমাণ-বিশ্লেষণ ছাড়া এই ধরনের রায় দেওয়া যাবে না।এর আগে বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমান উল্লাহ আমান, শাহজাহান ওমরের দুর্নীতি মামলাও একই যুক্তিতে হাই কোর্টে পুনরায় শুনানির জন্য পাঠিয়েছিল আপিল বিভাগ।
হাজি সেলিমের এই মামলায় ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাই কোর্ট রায় দিয়েছিল। রায়ে নিম্ন আদালতের দেওয়া ১৩ বছরের দণ্ড বাতিল হয়। ২০০৮ সালে নিম্ন আদালতে তার এই দণ্ড হয়।অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় দুদক মামলা করে।দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০০৭ সালের দুদক যে ৫০ জনের সম্পদের হিসাব চেয়ে প্রথম দফায় নোটিস দিয়েছিল, তাদের একজন হলেন হাজি সেলিম।