‘হগলে জানে বিএসএফের অমিয় ঘোষ আমার মাইয়ারে গুলি কইরা মারছে‘
কুড়িগ্রাম থেকে রেজু সরকার:
‘হগলে জানে বিএসএফের সদস্য অমিয় ঘোষ আমার মাইয়ারে গুলি কইরা মারছে। আমার মাইয়ারে তো আর ফিরা পামু না। আশা করি বিচারটা যেন পাই।’
ফেলানী হত্যার পুনবির্চারে সাক্ষ্য দিতে আজ রোববার কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবির সদর দপ্তর থেকে ভারতের পথে রওনা হন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ও প্রতিনিধিদল। যাত্রা শুরুর আগে বেলা ১১টার দিকে নুরুল ইসলাম এ কথা বলেন।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সেক্টর সদর দপ্তরে স্থাপিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টের আহ্বানে ভারতের পথে রওনা হন নুরুল ইসলাম ও প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন কুড়িগ্রাম ৪৫ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মেজর এ টি এম হেমায়েতুল ইসলাম ও কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্রাহাম লিংকন। আগামীকাল সোমবার বিএসএফের বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য দেবেন ফেলানীর বাবা।
ভারতে রওনা হওয়ার আগে ফেলানীর বাবা বলেন, ‘আপনারা দোয়া করবেন, আমার মাইয়া হত্যার যেন ন্যায়বিচার পাই।’ বিচারের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
পিপি আব্রাহাম লিংকন বলেন, ‘ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচারের ভেতর দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, আগের বার ন্যায্যবিচার হয়নি। এবার খুনির সাজা নিশ্চিত হওয়ার মাধ্যমে ফেলানীর বাবা ও বাংলাদেশ একটি ন্যায়বিচার পাবেন।’
পুনর্বিচারের ফলাফল ইতিবাচক হবে বলে আশা করছেন কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এ টি এম হেমায়েতুল ইসলাম।
ফেলানীর বাবাসহ এ তিনজন বেলা ১১টার দিকে ভারতের উদ্দেশে লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী চেকপোস্টের পথে রওনা হন।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারায় কিশোরী ফেলানী।