স্যোশাল মিডিয়ায় দলীয় কার্যক্রম বাড়াতে হবে-জয়
বিশেষ প্রতিনিধি : স্যোশাল মিডিয়ায় দলীয় কার্যক্রম বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর
ছেলে এবং তার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।তিনি বলেন, একজন কর্মী হিসেবে দলের জন্য যা যা করা প্রয়োজন তার সবই করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ধানমন্ডিতে দলের বর্ধিত কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে অনির্ধারিত বৈঠক তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতার সূত্রে একথা জানা গেছে।
সকালে ধানমন্ডিতে দলীয় কার্যালয়ে ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সংসদ সদস্যদের করণীয়’ শীর্ষক দলের নেতাকর্মী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জয় অংশ নেয়। ওই বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও উপস্থিত ছিলেন। এসময় ওবায়দুল কাদের জয়কে অনির্ধারিত ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। মূলত নির্বাচনি কৌশল নির্ধারণ করতেই অনির্ধারিত এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। রুদ্ধদ্বার এ বৈঠকে দলের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ওবায়দুল কাদের জয়কে আগামী ২০ মে অনুষ্ঠেয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানান। তখন জয় বলেন, ‘রংপুর থেকে যেহেতু আমি দলের সদস্য হয়েছি তাই আমি বৈঠকে উপস্থিত থাকবো। আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে দলের জন্য করণীয় সবই করবো।’
বৈঠকে জয় বলেন, ‘তরুণদের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য স্যোশাল মিডিয়া। আমাদের যেসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আছে এগুলো স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। স্যোশাল মিডিয়ায় দলীয় কার্যক্রম বাড়াতে হবে।’ এজন্যই স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারের কর্মশালার ওপর গুরুত্বরোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে পরাজিত করার শক্তি কারও নেই। বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে খুন, দুর্নীতি, জ্বালাও-পোড়াও, পেট্রোল বোমা, মানুষ মারা এগুলোই চলবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল বলেই সব ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পেরেছি। নিজস্ব অর্থায়নের অনেক বড় বড় প্রকল্পে কাজ শুরু করতে পেরেছি।’
সজীব ওয়াজেদ জয়
বৈঠকে তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই স্বপ্ন দেখেছে, কিন্তু কেউ বাস্তবায়ন করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ স্বপ্ন দেখেছে এবং বাস্তবায়ন করেছে। এখন আওয়ামী লীগের স্বপ্নে কথা নকল করে শোনাচ্ছে। যেটা হাস্যকর।’
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হলে বিএনপি যেসব অভিযোগ করে তা আর করতে পারবে না। নির্বাচনি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না। স্বচ্ছতা আসবে, খরচ কমবে। বাংলাদেশের সংবিধান ও উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী অনির্বাচিত ব্যক্তি সরকার পরিচালনা করতে পারবে না। সুতরাং আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে।’
জয় আরও বলেন, ‘মিথ্যাচার ছাড়া বিএনপির কাছে রাজনৈতিক কোনও ইস্যু নেই। আগামী নির্বাচনে বিএনপি পরাস্ত করতে পারলে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।’
বৈঠকে ওবায়দুল কাদের, মাহবুবুল আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাসিম, এনামুল হক শামীম, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আবদুস সোবহান গোলাপ, এস এম কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।