স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতার গাড়িতে পিস্তল-নেতা বললেন-গভীর ষড়যন্ত্র
বিশেষ প্রতিবেদক : বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান ওরফে শাহিনের প্রাইভেট কার ও কার্যালয় তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল, ককটেলসহ বেশি কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে শাজাহানপুর থানার পুলিশ। একই সঙ্গে ওই কারসহ দুটি প্রাইভেট কার ও ১১টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। আজ বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার ওমরদীঘি বাজারে এ অভিযান চলে।
এ ঘটনায় পুলিশ আসাদুজ্জামান (২৫) ও ফজলুল হক ওরফে উজ্জল (২৭) নামে দুজনকে আটক করেছে। তবে পুলিশের অভিযানের আগে ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ কয়েকজন পালিয়ে যান।শাহজাহানপুর থানার পুলিশ জানায়, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওই নেতা এবার খরনা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী।
প্রতিপক্ষের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছিল। আজ স্থানীয় টেংগামাগুর এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার প্রস্তুতি নিতে তিনি ওমরদীঘি বাজারে সমর্থকদের নিয়ে অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাজারে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই নেতাসহ সহযোগীরা দুটি প্রাইভেট কার ও ১১টি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান।
পরে তল্লাশি চালিয়ে প্রাইভেট কার ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার কার্যালয় থেকে থেকে গুলিভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র, ১১টি ককটেল, একটি বিদেশি চাকু, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি উদ্ধার করা হয়।শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, যে প্রাইভেট কার থেকে গুলিভর্তি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমানের।
তবে সাজেদুর বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আগাম প্রচারণায় অংশ নিতে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বুধবার বিকেলে তিনি ঘটনাস্থলে যান। বাজারে গাড়ি রেখে একটি ঈদগা মাঠে মিলাদ মাহফিলে গেলে পুলিশ মুঠোফোনে কল দিয়ে গাড়ি থেকে অস্ত্র ও ককটেল উদ্ধারের কথা তাঁকে জানায়। নির্বাচনে যাতে অংশ নিতে না পারি সে জন্য একটি মহল তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।