‘স্বাধীনের ৪৫ বছরেও দূুর্নীতি সন্ত্রাস ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠন হয়নি’
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী সমাজ এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের ‘জাতীয় পরিষদ’ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সংখ্যাগরিষ্ট আসন অর্জন করে বিজয় লাভ করে, গণতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার উচিত ছিল আওয়ামীলীগকে সরকার গঠনের সুযোগ করে দেওয়া। কিন্ত তা না করে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার নির্দেশে পাক হানাদার বাহিনী আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের) সাধারণ নিরস্ত্র জনতার উপর পৈশাচিক আক্রমন চালিয়ে গণহত্যা শুরু করে, যার কারণে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সশস্ত্র লড়াই ও সংগ্রাম শুরু হয়।
তিনি বলেন, দেশবাসীর সক্রীয় সমর্থন ও সহযোগীতায় মুক্তিযুদ্ধাদের জান বাজি রেখে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই ও সংগ্রামের ফলে বহু রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতন ও শোষণ থেকে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়।
কিন্তু দেশ স্বাধীনের ৪৫ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও দূুর্নীতি, সন্ত্রাস ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠন হয়নি, মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি, যার কারণে সাধারণ মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে আজও বঞ্চিত। তিনি আরও বলেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামেও আজ চলছে মানবতা বিরোধী অপতৎপরতা, দেশ পরিচালনায় নেতাদের ভূল নেতৃত্বের কারণে মানুষের জান ও মালের নেই কোন নিরাপত্তা, মানুষ গুম ও খুন হচ্ছে, নারী ও শিশু ধর্ষণসহ বিভিন্ন রকম অপতৎপরতার সয়লাবে দেশবাসী আজ দিশেহারা।
সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার সুযোগ রেখে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠাই দেশ ও জাতির এ নাজুক অবস্থা থেকে বাচাঁর একমাত্র উপায়।
মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে “দূর্নীতি, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসসহ সকল অপতৎপরতা ও শোষণ মুক্ত সমাজ গঠনের উপায়” বিষয়ে খিলগাঁও তিলপাপাড়া জোড় পুকুর মাঠে গতকাল অনুষ্ঠিত দোয়া ও আলোচনা সভায় সংগঠনের আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন,মানুষ স্বাধীনতার সুফল থেকে বঞ্চিত হয়ে দূর্ভোগ ও অশান্তিতে কাল কাটাচ্ছে।
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর অনুসরণ ও অনুকরণে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে আমীরের নেতৃত্বে সমাজ গঠন আন্দোলনে নিজেদের সময় ও অর্থ কুরবানী করে ঈমানের সর্বোচ্চ পরিক্ষা দিদে হবে।
“ইসলামী সমাজ” এর নেতা ও কর্মীগণ একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ঈমানদার সৎকর্মশীল হওয়ারই আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।এজন্য দলমত নির্বিশেষে সকলকে তিনি ইসলামী সমাজে শামিল হওয়ার আহবান জানান।
মুহাম্মাদ ইয়াছিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া ও আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সর্বজনাব সোলায়মান কবীর, মুহাম্মাদ ইয়াছিন, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও আসাদুজ্জামান প্রমূখ। দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি হয়।