স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে রুখতেই চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল:হাসিনা
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্যই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকা- ছিল মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের দালালদের চরম প্রতিশোধ। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ীতে কৃষিবিদ মিলনায়তনে ‘জেলহত্যা দিবস’ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ আগস্টের শহীদ, প্রয়াত জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা একটা কথায়ই বিশ্বাস করি- আমরা স্বাধীনতা এনেছি। এই স্বাধীনতাকে আমাদের অর্থবহ করতে হবে। জাতির পিতাকে হত্যা করে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে, হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধীরা ভেবেছিল আওয়ামী লীগের নাম-নিশানা মুছে দেবে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী ২১ বছর এই দেশ শোষিত হয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, খুনি মোশতাক ক্ষমতা দখল করেই জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করেছিল। তার মানে এটাই স্পষ্ট যে ১৫ আগস্টের ওই ঘটনার সঙ্গে খুনি মোশতাকের সঙ্গে জিয়াও জড়িত ছিল। যাদের আমরা বিচার করেছি, যাদের অনেকের ফাঁসি হয়েছে, তারা বিবিসিতে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের মুখে খুনের কথা স্বীকার করেছে। আত্মস্বীকৃত খুনিদের সঙ্গে জিয়ার যোগাযোগ ছিল, জিয়া তাদের ইশারা দিয়েছিল এবং সমর্থন দিয়েছিল, সাক্ষাৎকারে এটাও স্পষ্ট।
জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর থেকে রাতের বেলা কারফিউ দিয়ে রেখেছে, গণতন্ত্রকে কারফিউ দিয়ে রেখেছে। হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে কলঙ্কিত করেছে। বিএনপি (১৯৯১ সালে) ক্ষমতায় আসার পর তাদের আমলে বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এ কারণেই দেশের উন্নয়ন হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বিএনপির উদ্দেশে বলেন, খালেদা জিয়া ২০১৪ সালের নির্বাচনে না এসে, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে ভুল করেছে। সেই ভুলের খেসারত জনগণ কেন দেবে? প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী যে চেতনা জেগে উঠেছে তাকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, দেশে কোন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থাকতে দেব না এবং তাদের মদতকারীরাও সাজা পাবে।
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের পরিচালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য- শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সভাপতিম-লীর সদস্য- কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও ড. আবদুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।