• বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর ২০২৪

স্বাধীনতার আনন্দে বিজয়ে মাতল দেশ


প্রকাশিত: ৬:২৫ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ১৫ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২৭ বার

bijoy dibos-www.jatirkhantha.com.bdসাভার থেকে  এস রহমান/ নীপা পাপিয়া/ দীনা করিম:  স্বাধীনতার আনন্দে বিজয়ে মাতল দেশ। আজ মহান বিজয় দিবস। এ উপলক্ষে আজ বুধবার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ছিল সর্বস্তরের মানুষের ঢল।  রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতীয় স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে বিদেশিরাও আসেন। জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশি মানুষের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে দেশাত্মবোধক স্লোগান দেন বিদেশিরাও।

বাড়ি, গাড়ি, প্রতিষ্ঠানে পতপত করে উড়ছে লাল-সবুজের পতাকা। মানুষের মাথায় পতাকার রঙের ফিতা। গায়ে পতাকার রঙের পোশাক। পতাকায় সজ্জিত রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোর প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ। সবার মনে বিপুল আনন্দ। দেশজুড়ে উৎসব। আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশের সবচেয়ে আনন্দের, বড় প্রাপ্তির দিন।

নয় মাসের সংগ্রাম আর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বহু আকাঙ্ক্ষিত এই দিনটি এসেছিল। ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ৪৪ বছর আগের এই দিনে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী হাতের অস্ত্র ফেলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছিল বিজয়ী বীর বাঙালির সামনে।

যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতি দিবসটি পালন করছে।ঢাকায় ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

পরে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সাংসদ, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিকেরাও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

পরে সর্বসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে ঢল নামে সর্বস্তরের মানুষের।বেলা ১১টার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্মৃতিসৌধে যান। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বরাবরের মতো এবারও মহান বিজয় দিবস পালনের বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সকাল ১০টার দিকে বিজয় দিবস কুচকাওয়াজ শুরু হয়। কুচকাওয়াজে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হন।মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধদলীয় নেতা এবং বিএনপির চেয়ারপারসন পৃথক বাণী দিয়েছেন।

আজ সরকারি ছুটি। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাতে গুরুত্বপূর্ণ ভবনে করা হবে আলোকসজ্জা। হাসপাতাল, শিশুসদন ও কারাগারগুলোতে পরিবেশন করা হবে বিশেষ খাবার।বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে বিজয় শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়।

বিএনপি ঢাকায় বিজয় শোভাযাত্রা করবে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয়ের দিনটিতে আনন্দের পাশাপাশি বেদনাও বাজছে বাঙালির বুকে। বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় জাতি স্মরণ করবে জানা-অজানা সেই সব শহীদকে, যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এসেছে এই স্বাধীনতা।