স্বাগত জানাইনি, সংশয় প্রকাশ করেছি-অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা এরশাদের
রওশন এরশাদ নেই কেন—এ প্রশ্নে জবাবে এরশাদ বলেন, ‘আমি পার্টির চেয়ারম্যান। পার্টির দায়িত্ব তো আমার। ওনার পক্ষ থেকে আমি প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি।’
প্রস্তাবিত বাজেটের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করার দাবি জানিয়ে এরশাদ বলেন, বাস্তবে এটি একটি স্বপ্নবিলাসী বাজেট। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রীর স্বীকার করা ‘উচ্চাভিলাষী’ বাজেটের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাজেট উচ্চাভিলাষী হোক, তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু স্বপ্নবিলাস দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হোক, তা আমরা চাই না।’
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ বলেন, বাজেটে যত উচ্চ আশাই করা হোক না কেন, তার কোনোটিতেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে সম্ভব হবে না; যদি দেশে সুশাসন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটানো না যায়। দেশে যদি সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, হত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটতেই থাকে, তা হলে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ ও বিদেশি বিনিয়োগ শূন্যের কোটায় চলে যাবে। নারায়ণগঞ্জ ও ফেনীর ঘটনার পর বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
তা হলে কি দেশে সুশাসন, আইনশৃঙ্খলা নেই?—এ প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, ‘সুশাসন অনুপস্থিত।’ তিনি বলেন, ৬৭ হাজার ৫৫২ কোটি টাকার ঘাটতি আছে এ বাজেটে। এই ঘাটতি পূরণে অর্থমন্ত্রী যেসব সূত্রের কথা বলেছেন, তা দেখে এ বাজেটকে স্বপ্নবিলাসীই মনে হয়। কারণ, গত এক বছরে বৈদেশিক সাহায্য হিসাবে ২৪ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যায়নি। সুতরাং, বৈদেশিক উত্স থেকে অর্থ না পেলে সরকারকে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নিতে হবে। আর বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে বেসরকারি উদ্যোক্তারা ঋণ কম পাবেন। সামগ্রিক বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় আছে বলে জানান এরশাদ।
‘এবার অবশ্য বিরোধী দল ছিল। তা যে ধরনের বিরোধী দলই হোক না কেন’—৫ জুন সংসদে বাজেট পেশ করার সময় বিরোধী দলের উপস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত করে অর্থমন্ত্রী এ বক্তব্য দিয়েছিলেন। এই বক্তব্য তাচ্ছিল্য কি না—জানতে চাইলে এরশাদ বলেন, ‘উনার এ ধরনের বক্তব্যে আমরা মর্মাহত। বিরোধী দল এই প্রথমবারের মতো বাজেটের সময় সংসদে ছিল, এতে তাঁর সাধুবাদ জানানো উচিত ছিল। আমরা তাঁর এ বক্তব্যের নিন্দা জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে জাপার মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, দলের সাংসদ ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন, এস এম ফয়সাল চিশতী, আবদুর সবুর উপস্থিত ছিলেন।