স্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা:
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০১৮ সালের মধ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হবে। আজ শুক্রবার দুপুরে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সব বাধা অতিক্রম করে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে। ২০১৮ সালের মধ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও গতিশীল নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করে প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান সেতু নির্মাণের জন্য লঞ্চ ও ফেরিঘাট স্থানান্তর প্রয়োজন। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ঘাট স্থানান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী মাসে লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়ায় ঘাট স্থানান্তর করা হবে। ১০ নভেম্বর সিনো হাইড্রো কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির পরে তারা মোবালাইজেশন শুরু করেছে। জানুয়ারি হতে তারা নদী শাসনের কাজ আরম্ভ করবে। মূল সেতুর ঠিকাদার চায়না মেজর ব্রিজ সেতু নির্মাণের কিছু কাজ শুরু করেছে। সেতুর কিছু যন্ত্রাংশ সিঙ্গাপুর, চীন ও জার্মানিতে তৈরি করা হচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, পদ্মা সেতুর সব কাজ একসঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা পাড়ে হংকং ও সাংহাইয়ের মতো নয়ন জুড়ানো শহর গড়ে উঠবে। এখানে শিল্পায়ন হবে। বিমানবন্দর, ক্রীড়া কমপ্লেক্স ও পর্যটন এলাকা গড়ে তোলা হবে। মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে শ্রমিক সরবরাহের কথা বলে বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে। অনেক মানুষকে প্রতারিত করা হয়েছে। এসব প্রতারক চক্রের কাছ থেকে সাবধান থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বেলা ১১টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবায় সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ পরির্দশন করেন। পরির্দশন শেষে দুপুরে তিনি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে সেতু বিভাগ, পরামর্শক, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার সাজ্জাদ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেডের পরিচালক আবিদ হাবীব, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক এ এস এম জাফর উল্লাহ, শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ভিখারুদ্দৌলা চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহশান শাহ।
সেতু বিভাগ জানায়, জাজিরা ও শিবচরে পদ্মা সেতুর সাড়ে ১০ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ চলছে। ১ হাজার ৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম ও মালয়েশিয়ান কোম্পানি এইচসিএম যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
সংযোগ সড়কে ২০টি কার্লভাট, পাঁচটি সেতু ও আটটি আন্ডারপাস রয়েছে। এ কাজের মধ্যে সেতুর ২৫ শতাংশ, সড়কের ২১ শতাংশ ও কার্লভাটের ৪৭ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। গত বছর ৫ জানুয়ারি প্রকল্পটির কাজ শুরু করা হয়েছে। ৩০ মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।