স্কয়ারের নকল ওষুধ মহা-তুলকালাম-
শফিক রহমান : স্কয়ারের নকল ওষুধ নিয়ে মহা তুলকালামের পর তা আদালতে গেছে।আদালত এ ঘটনা তদন্ত করার কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন। ভুক্তভোগী রোগী অধাপক জাকারিয়া স্বপন জাতিরকন্ঠকে বলেছেন, যে স্কয়ারের মত নামকরা হাসপাতালে আমার কেমোথেরাপি চলছিল, সেখানে গত ১০ ও ১৭ ডিসেম্বর যে ওষুধের দুটি ডোজ আমাকে দেওয়া হয়, তা আসল ছিল না। ফ্রান্সের একটি কোম্পানির ওষুধ নকল করে দেওয়া হয়েছিল।ওই ওষুধে যে সাইটোটক্সিন উপাদান থাকার কথা ছিল, তা না থেকে অন্য কিছু দেওয়া ছিল। অথচ এ ওষুধের প্রতিটি ডোজের দাম রাখা হয় প্রায় ১৮ হাজার টাকা।
সূত্র জানায়, স্কয়ার হাসপাতালে বিএসএমএমএইউর এক অধ্যাপককে নকল ওষুধ প্রয়োগের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়ে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে হাই কোর্ট।রাজধানীর বেসরকারি নামি এই হাসপাতালটির বিরুদ্ধে নকল ওষুধ প্রয়োগের অভিযোগ তুলে তার প্রতিবিধান চেয়ে রিট আবেদন করেছিলেন ভুক্তভোগী অধ্যাপক ডা. এ এস এম জাকারিয়া স্বপন।
আওয়ামী লীগ সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাচিপের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বপনের সঙ্গে আবেদনে যুক্ত ছিল মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্ল্যাস্ট)।
‘নকল ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার শিকার হলেন ডাক্তার নেতা’ এবং ‘ভেজাল ওষুধে ক্ষতিগ্রস্ত রোগীরা অসহায়’ শিরোনামে প্রকাশিত দুটি সংবাদ প্রতিবেদন যুক্ত করে এই রিট আবেদনটি করা হয়।বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেয়।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান জাতিরকন্ঠকে বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করতে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ওই অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন ও তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসক জাকারিয়া স্বপনসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত রোগীদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে এই আইনজীবী জানান।
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ফার্মেসি ইনচার্জ, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল ও স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ক্যান্সারে আক্রান্ত ডা. জাকারিয়া স্বপন স্কয়ার হাসপাতালে কেমোথেরাপি নিচ্ছিলেন। তিন মাসে উন্নতি না দেখে তিনি তথ্যাদি যাচাই করে নকল ওষুধ প্রয়োগের বিষয়টি ধরতে পারেন বলে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।সরকার সমর্থক এই চিকিৎসক পরে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে অভিযোগও করেন।