সৌম্য সাব্বির এর সাহসী ইনিংস
অনলাইন ডেস্ক : আজও খেললেন দারুণ এক ইনিংস।জিম্বাবুয়ে এর আগের বার যখন খেলতে এসেছিল, তখন চোটে ছিলেন দলের বাইরে। বিপিএলে ফিরে এসেছিলেন, কিন্তু রংপুর রাইডার্সের হয়ে টুর্নামেন্টটা কাটল একদম বাজে। সব মিলিয়ে একটু চাপেই ছিলেন সৌম্য সরকার। বাঁহাতি এই ওপেনারের কাছে যে একটা বড় ইনিংস সমর্থকদের পাওনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
যা-ই হোক, পাওনা মেটালেন সৌম্য। হয়তো আরও ভালোভাবে মিটিয়ে দিতে পারলে ভালো লাগত, তাঁর নিজের যেমন, তেমনি সমর্থকদেরও। তবু আজ জিম্বাবুয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সৌম্যর ৩৩ বলে ৪৩ রানের ইনিংসটি এসেছে হিম ঠান্ডায় রোদের ওমের স্বস্তি হয়ে। এর আগে চার টি-টোয়েন্টি মিলিয়েই করেছিলেন ৫১। বাকি তিন ইনিংসে ১৪। সেদিক দিয়ে সৌম্যর আজকের ৩ ছক্কা ও ৪ চারের ইনিংসটি তাঁকেও আত্মবিশ্বাস দেবে সন্দেহ নেই।
সৌম্যর নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করা। তবে সাব্বিরের জন্য তা নয়। বরং লোয়ার-মিডল অর্ডারে এত ভালো খেলেছেন, একেবারে তিন নম্বরের প্রমোশন দেওয়া হয়েছে। সাধারণত দলের সেরা ব্যাটসম্যানটিকে তিনে পাঠানো হয়। সাব্বিরের জন্য এটি দল থেকে বড় বার্তা দেওয়াও। আর সেই পদোন্নতি পেয়ে সাব্বির যেন ডানা মেলেছেন। গত ম্যাচে ৪৬-এর পর আজ ৩০ বলে অপরাজিত ছিলেন ৪৩ রানে। চার একটি, ছক্কাই তিনটি। এর সঙ্গে দলের সবচেয়ে সিনিয়র তিন ব্যাটসম্যান তামিম-মুশফিক-সাকিবের ২০-এর ঘরের তিনটি ইনিংসে ৩ উইকেটে ১৬৭ তুলেছে বাংলাদেশ।
তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে গত কিছুদিনে যেন সিনিয়রদের কাছে জুনিয়ররা বার্তা দিচ্ছে, আমরা সামনে আছি। আপনারা পেছন থেকে সাহস জুগিয়ে যান। আজও দুই স-এর সাহসী ইনিংস। সৌম্যর ইনিংসটি যদি বৈশাখী বৃষ্টির পরশ হয়ে আসে, তবে সাব্বিরেরটি ছিল কালবৈশাখী। গত বিপিএলের শেষ দুই ম্যাচে বরিশাল বুলসের হয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করেছিলেন। এক ম্যাচে তো গেইলকেই ভুলিয়ে দিলেন তাঁর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং দিয়ে।
বিপিএলের ওই দুই ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখেই কি না, টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে গত ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি পেয়ে তিনে ব্যাট করেছিলেন। ভালোও খেলেছিলেন। আজও তাই। ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাটিতে নেমে দলের ইনিংসটাকে টেনে নিয়ে গেছেন সাব্বির। আর সৌম্য তো পেয়ে গেলেন তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস।
বাংলাদেশের ইনিংসটা আরও বড় হয়তো হতেই পারত। তবে এর চেয়ে বড় আক্ষেপ আপাতত মুশফিককে নিয়ে। মাংসপেশিতে টান পড়ায় ব্যাটিং শেষ না করেই উঠে গেছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৭/৩ (তামিম ২৩, সৌম্য ৪৩, সাব্বির ৪৩*, মাহমুদউল্লাহ ১, মুশফিক ২৪ (আহত অবসর), সাকিব ২৭* ; ক্রেমার ১/২৯, মাসাকাদজা ১/৩২ মুজারাবানি ১/৩৫)