• রোববার , ১৭ নভেম্বর ২০২৪

সোনালী ব্যাংকে চেকজালিয়াত-ঢাবি অধ্যাপকের পৌণে ৭ লাখ টাকা লুট


প্রকাশিত: ১২:০৮ পিএম, ১৮ মে ১৭ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪০ বার

ঢাবি প্রতিনিধি :  এবার সোনালী ব্যাংকের রাঘববোয়াল চেক জালিয়াত চক্র ঢাবি অধ্যাপকের ssপৌণে ৭ লাখ টাকা লুট করে নিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা জড়িত। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে।তবে ভুক্তভোগীরা বলেছেন, সাধারণত একজন চেক ইস্যু করে, অন্য কেউ এক লাখ টাকার বেশি তুলতে গেলে ব্যাংক থেকে গ্রাহককে ফোন করে নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু গত ২০ মার্চ ঢাবি’র ওই অধ্যাপক দেশে থাকার পরও ব্যাংক থেকে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এক শিক্ষকের ব্যাংক হিসাব থেকে ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী গত ২০ মার্চ থেকে ১২ মে পর্যন্ত দেশের বাইরে থাকাকালে তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনালী ব্যাংক শাখার হিসাব থেকে চারদফায় এ টাকা উত্তোলন করা হয়। গত ১৩ মে দেশে ফেরার পর ১৬ মে বিষয়টি জানতে পারেন বলে জানান তিনি।

সাহাদাত হোসেন বলেন, গবেষণার কাজের জন্য আমি গত ২০ মার্চ রাতে ইংল্যান্ডে যাই। কাজ শেষে ১২ মে দেশে ফিরে আসি। আসার পর মঙ্গলবার (১৬ মে) টাকা তুলতে সোনালী ব্যাংকের বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় যাই।

ব্যালেন্স যাচাই করার পর জানতে পারি, আমার একাউন্টে মাত্র ৩৯ হাজার ৯৬৮ টাকা ৭৯ পয়সা আছে। আর বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ বাবদ কিছু টাকা কেটেছে। কিন্তু আমার একাউন্টে ৭ লাখ ১০ টাকার থাকার কথা ছিল। পরে আমি ব্যাংকের ‘স্টেটমেন্ট অব অ্যাকাউন্ট’ চেক করি।

দেখি, চার দফায় টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ২০ মার্চ চাঁদপুর হাজীগঞ্জ শাখা থেকে ২ লাখ টাকা, ঢাকার সদরঘাট করপোরেট শাখা থেকে ২৯ মার্চ ২ লাখ টাকা, একই শাখা থেকে ২ এপ্রিল ১ লাখ ৮১ হাজার টাকা এবং ৯ এপ্রিল ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

যেসব চেক দিয়ে টাকা তোলা হয় সেগুলো ভুয়া জানিয়ে তিনি বলেন, চেক বই আমার কাছে আছে। যেসব নম্বরের চেক জমা দেওয়া হয়েছে সেগুলো বইয়ে আছে। সে বই থেকে মাত্র তিনটি পাতা দিয়ে আমি টাকা উত্তোলন করেছিলাম।

তিনি বলেন, সাধারণত একজন চেক ইস্যু করে, অন্য কেউ এক লাখ টাকার বেশি তুলতে গেলে ব্যাংক থেকে গ্রাহককে ফোন করে নিশ্চিত হয়। কিন্তু গত ২০ মার্চ দিনে দেশে থাকার পরও ব্যাংক থেকে আমার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি। অথচ ওই দিনই চাঁদপুর হাজীগঞ্জ শাখা থেকে আমার একাউন্ট থেকে ২ লাখ টাকা তোলা হয়েছে।

তিনি বলেন, আজকে (বুধবার) ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আমার চেক বই দেখতে চাইলে আমি তা দেখিয়েছি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে বলে জানিয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী বলেন, ওই শিক্ষকের একাউন্টের টাকা চেক জালিয়াতি মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের অন্য শাখাগুলো থেকে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে জানিয়েছে।

সোনালী ব্যাংকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নুরুল হক বলেন, ওই শিক্ষকের একাউন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় খোলা হয়েছিল। কিন্তু টাকা তোলা হয়েছে বাইরের শাখা থেকে। বিষয়টি তদন্ত করা হবে।