সোনালী ব্যাংকের ভল্ট রক্ষা করল র্যাব-ডাকাত ক্রসফায়ার
সাভার প্রতিনিধি : ঢাকার ধামরাইয়ে সোনালী ব্যাংকের একটি শাখার ছাদ কেটে ভল্টে ঢুকে চুরির চেষ্টা ভেস্তে দেওয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব। শুক্রবার ভোর রাতে ধামরাই বাজারের রিয়াজ উদ্দিন মার্কেটে এই অভিযানে র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে সন্দেহভাজন এক চোর নিহত হয়েছেন বলে ধামরাই থানার ওসি রেজাউল করিম জানান।
ওই ভবনের একটি বাসা থেকে নারী ও শিশুসহ মোট ছয়জনকে আটক করেছে।বলা হচ্ছে, একই পরিবারের সদস্য পরিচয় দিয়ে তারা ওই ব্যাংকের ওপর তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন।
নিহত মাসুকের (৫৫) বিস্তারিত পরিচয় জানাতে যায়নি। তার লাশ ধামরাই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব।
এ ঘটনায় আটকদের র্যাব হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৪ এর এসআই সুপ্রভাত মণ্ডল।
এরা হলেন -লক্ষীপুর সদরের সৈয়দ আহমদের ছেলে সবুজ (৬২), চাঁদপুরের হাইমচরের আজিজুল হক দেওয়ানের ছেলে বাদশা মিয়া দেওয়ান (৩৫), মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের আফজাল শেখের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম (৩৩), রাজধানীর দক্ষিণখানের শফিকুল ইসলামের মেয়ে শিলা (২৮) ও রুমানার ছেলে শাকিল (৮) এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল মালেকের মেয়ে রুমানা বেগম (২৫) ।
এসআই সুপ্রভাত বলেন, রিয়াজ উদ্দিন মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় সোনালী ব্যাংকের ওই শাখা। তার ঠিক ওপরের তলার ফ্ল্যাটটি মাস তিনেক আগে ভাড়া নিয়ে সেখানে ওঠেন মাসুক ও আটকদের মধ্যে কয়েকজন। তারা নিজেদের একই পরিবারের বলে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় বলেছিলেন তারা পোশাক কর্মী।
“তৃতীয় তলার মেঝে, অর্থাৎ দ্বিতীয় তলায় ব্যাংকের ভল্টের ছাদ কেটে ভেতরে ঢুকে লুটের পরিকল্পনা ছিল তাদের। একজন মানুষ নামতে পারে এমন মাপের একটি গর্তও তারা তৈরি করে।”
রাতেই তারা ভল্টে নামতে পারে- এই তথ্য পেয়ে রাত ৩টার দিকে র্যাব সদস্যরা ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে বলে সুপ্রভাত মণ্ডল জানান।
অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে ওই বাসা থেকে র্যাবের দিকে গুলি ছোড়া হয়। র্যাবও পাল্টা গুলি করলে কিছুক্ষণ বন্দুকযুদ্ধ চলে। ওই সময়ই মাসুক নিহত হয়।র্যাব সদস্যরা পরে ভবনে ঢুকে কংক্রিট কাটার সরঞ্জাম ও একটি পিস্তল একটি, চার রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি ম্যাগাজিনসহ তাদের আটক করা হয়।”
এসআই মণ্ডল বলেন, “দেড় বছর আগে গাজীপুরে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের একটি শাখায় একইভাবে চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। বাসার মালিকের ছেলে রেজাউল করিম বলেন, মাসুক তিন মাস আগে ফ্লাটটি ভাড়া নেন। এক মাস আগে স্বপরিবারে থাকবেন বলে তারা বাড়িতে ওঠেন।
তাদের আচরণ অন্য সব ভাড়াটিয়াদের মতোই ছিল। তাই তাদের কোনো সন্দেহ হয়নি।সোনালী ব্যাংকের ওই শাখার ব্যবস্থাপক কাজী সোলায়মান জানান, বাসার মালিক কাকে বাসা ভাড়া দিয়েছেন, তিনি জানেন না। ওপর তলার মেঝে খোঁড়া বিষয়টি অফিস চলাকালীন সময়ে তারা বুঝতে পারেননি।