সৈয়দপুরে জিতল রানা
সৈয়দপুর থেকে শফিউল আলম বাবুল : অবশেষে নীলফামারী জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা সৈয়দপুরে বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী রিয়াদ আরফান সরকার রানা। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩২ হাজার পাঁচশ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন, আজমল হোসেন সরকার। তিনি আনারস মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোট পান ১৮ হাজার পাঁচশ।
বহু ভাষাভাষির মানুষের বসবাস এ শহরে এবার কে নির্বাচিত হবেন তা গোলকধাঁধাঁয় আটকে গিয়েছিল। ভোটের আচরণবিধি ভঙ্গ করায় ঘোড়া মার্কার প্রার্থীকে জেলে যেতে হয় জরিমানা না দেয়ায়। ভোটের আগের দিন তিনি জামিনে বের হন।
তাছাড়া ভোটের আগে অতিরিক্ত গরমের কারণে প্রার্থীরা ঘর থেকে বের হতে না পাড়ায় কমে যায় প্রচার প্রচারনা। ভাইস চেয়ারম্যান পদে এক প্রার্থী জানান, গরমে বের হতে পারছি না। আরেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীও একই তথ্য জানান।
এবার উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়েন ৬ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আজমল হোসেন সরকার (আনারস), মোস্তফা ফিরোজ (টেলিফোন), জয়নাল আবেদীন (মোটরসাইকেল), মহসিন আলী (হেলিকপ্টার) ও ফয়সাল দিদার দিপু (ঘোড়া) মার্কা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে লড়েন মহসিন মন্ডল মিঠু (চশমা), শেখ আব্দুল্লাহ (তালা) ও আনোয়ারুল ইসলাম (টিউবওয়েল)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সানজিদা বেগম লাকী (পদ্মফুল), সুমিত্রা রানী (কলস) ও মোস্তাফিজা হোসেন শিলা (প্রজাপতি)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫টি ইউনিয়ন ও প্রথম শ্রেণীর একটি পৌরসভা মিলে নির্বাচনী এলাকা। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ইউনিয়ন ও পৌরসভা মিলে ২ লাখ ১৭ হাজার ৯শ ৯৬ জন। এদের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার ভোটার অবাঙ্গালী বা উর্দুভাষি। অতিতের হিসেব মতে দেখা যায় অবাঙ্গালীরা সাধারণত যাকে ভোট দেয় সেই মুলত নির্বাচিত হয়ে থাকে।
এবার অনেকটা নিরব ভুমিকা লক্ষ্য করা গেছে তাদের সাথে কথা বলে। সৈয়দপুর ক্যাম্প উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মাজিদ ইকবাল বলেন, ভোট নিয়ে তেমন কোন কথা হয়নি কারো সাথে। তাছাড়া কোন প্রার্থীও ভোট চাচ্ছেন না সেভাবে।
শুধু পথে দেখা হলে কোন কোন প্রার্থী হাত উঁচিয়ে দোয়া চাইছেন। ভোটারদের সাথে কথা হলে জানান, আইডিয়া করে বলা যাচ্ছে না কে জিতবেন। কারণ এ বার ভোট নিয়ে মানুষের মধ্যে তেমন একটা সারা নেই। তাছাড়া প্রার্থীরাও কেন যেন এড়িয়ে এড়িয়ে চলছেন। তাই কার গলায় পড়বে বিজয়ের মালা তা নিশ্চিত করে বলতে পারছিল না কেউ।