• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

সেমিফাইনালের স্বপ্ন সাকিবের-দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে টসে জিততে চাই


প্রকাশিত: ১০:৫৩ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২৩ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৪ বার


স্পোর্টস রিপোর্টার : বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশের ছিল বড় স্বপ্ন। ওয়ানডে সুপার লিগের তৃতীয় সেরা দল হয়ে শেষ করা, ওয়ানডেতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স; সবমিলিয়ে বিশ্বকাপের অন্তত সেরা চারে খেলার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু স্বপ্ন এখন খাদের কিনারায়। তারপরও সাকিব বললেন, বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন এখনও আছে।

যদিও এখন প্রেক্ষাপট একদমই বদলে গেছে। বিশ্বকাপের প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতেই হেরে গেছে বাংলাদেশ। পঞ্চম ম্যাচে ওয়াংখেড়েতে আগামীকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। এই দিন টসে জিততে চায় সাকিবরা। এর আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে হতাশ হতে না করেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি বলেন, ‘এখনও সম্ভাবনা আছে (সেমিফাইনাল খেলার)। আমি যেটা বললাম যে, আমরা না পারলে অন্যরা আমাদের সাহায্য করছে। এরকম যদি হতে থাকে আর আমরা যদি নিজেদের একটু সাহায্য করতে পারি। কাগজে-কলমে যদি আপনি দেখেন, এখনও খুব ভালো সুযোগ আছে আমাদের।

এত তাড়াতাড়ি হতাশ হবেন না, শেষ হলে মন খুলে হতাশা প্রকাশ করবেন।বাংলাদেশের হয়ে খেলা সবসময়ই চাপের। চারদিক থেকে আসা প্রত্যাশার ভারটাও বেশ বড়। এগুলো কীভাবে সামলান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা? সাকিবের কাছে এমন প্রশ্ন ছিল বিদেশি এক সাংবাদিকের। তিনি বলছেন, একই রকম আগ্রহ বোধ করেন পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলার পরেও।

দক্ষিণ আফ্রিকা রান তাড়ায় নামলে দুর্বল, আগে ব্যাট করলে বিধ্বংসী; এমন একটি পরিসংখ্যান জানাতেই বাংলাদেশ অধিনায়ক হাসতে হাসতে বললেন, দোয়া করেন যেন কালকে টসটা জিতি। তার চিন্তার জায়গাটা এমনিতেও বেড়েই আছে। বিশ্বকাপে প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতেই হেরে গেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়াংখেড়েতে জয়টা ভীষণ জরুরি তার দলের জন্য। তাতে বড় বাধা হতে পারে প্রোটিয়াদের আগে ব্যাট করা।

এই বিশ্বকাপেই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আগে ব্যাট করে ৪২৮ রান করেছে তারা। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হেরে যাওয়া ম্যাচটি বাদ দিলে বাকি দুটিতেও শুরুতে ব্যাট করে তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ ছিল তাদের। গত চার বছরে ১৯বার রান তাড়ায় নেমে ১০বারই হারতে হয়েছে। স্পিনারদের বিপক্ষেও ভুগতে দেখা গেছে প্রোটিয়াদের।

এসব নিয়ে জানতে চাইলে ওয়াংখেড়েতে ম্যাচের আগের দিন প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেন, ‘স্পিনাররা প্রভাব ফেলতে পারত যদি এই মাঠটা না হতো। এই মাঠের কারণেই হয়ত স্পিনাররা অত বেশি প্রভাব নাও ফেলতে পারে। অন্য জায়গায় হয়তো প্রভাব পড়তো। এখানে মাঠ ছোট, হাইস্কোরিং ম্যাচ হয়। আমরা সেভাবে পরিকল্পনা করছি।

সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা রোমাঞ্চকর। আমি শুধু নিজেরটা বলতে পারি, অন্যদের কী মনে হয় বলা কঠিন। আমি নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলছি, আমার একই রকম আগ্রহ, লক্ষ্য আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে খেলা ও পারফর্ম করার জন্য একই রকম লড়াই আছে নিজের ভেতর। এখন অবধি উপভোগ করছি। আশা করছি বিশ্বকাপটা ভালোভাবে শেষ করতে পারবো। ’