সেন্টমার্টিনে ঘূর্নিঝড় মোরা’র আঘাতে কয়েক গ্রাম লন্ডভন্ড
সেন্টমার্টিন থেকে কবির আহমেদ : সেন্টমার্টিনে আঘাত হেনেছে ঘূর্নিঝড় মোরা। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার ক্ষিপ্রতায় আঘাত হেনেছে ঘূর্নিঝড় মোরা। স্থানীয় সূত্র জাতিরকন্ঠকে জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ভোর ৪টার পর থেকে সেন্টমার্টিন লণ্ডভণ্ড হতে শুরু করে। ৬টা নাগাদ সেন্টমার্টিনের দুই শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কাঁচা ঘর বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আধাপাকা ঘরবাড়িও । বেশির ভাগ ঘরের চালা উড়ে গেছে। এ ছাড়া বহু গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। টেকনাফসহ আশপাশের এলাকায় প্রবল বেগে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। ঝড়ে । বহু গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। টেকনাফসহ আশপাশের এলাকায় প্রচণ্ড বেগে বাতাস বইছে। এসব এলাকায় এখন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। সঙ্গে রয়েছে বৃষ্টি।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে সমুদ্রে জোয়ারের পানি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে বেড়ে যাওয়ায় উপকূলের এসব গ্রাম প্লাবিত হয়। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোর ৪টার দিকে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন এলাকা অতিক্রম করতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। ১৯৯১ ও ১৯৯৪ সালে আঘাত হানা ঝড়ের চেয়ে এবারের ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ কিছুটা বেশি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র আরো জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ভোর ৪টার পর থেকে সেন্টমার্টিন লণ্ডভণ্ড হতে শুরু করে। ৬টা নাগাদ সেন্টমার্টিনের দুই শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কাঁচা ঘর বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আধাপাকা ঘরবাড়িও । বেশির ভাগ ঘরের চালা উড়ে গেছে। এ ছাড়া বহু গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্র ও হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা সবাই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক, কুতুবদিয়াপাড়া, ফদনারডেইল, সমিতিপাড়া, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি, ধলঘাটা, পেকুয়ার রাজাখালী, মগনামা, উজানটিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ১০টি গ্রামে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ। এ ছাড়া উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বলে গেছে।