সেনাবাহিনী প্রস্তুত অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে-প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে গড়ে ওঠা এ সেনাবাহিনী যে কোনো অশুভ শক্তিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করতে আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রস্তুত। তিনি বলেন, সাঁজোয়া, গোলন্দাজ ও পদাতিক বাহিনীর নতুন প্রবর্তিত যুদ্ধ সরঞ্জামে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা আরো সুদৃঢ় হয়েছে।
শনিবার সকালে নোয়াখালীর স্বর্ণদ্বীপে (জাহাইজ্জার চর) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ম্যানুভার অনুশীলন মহড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের চৌকস সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক রণসজ্জা ও তাদের সুদৃঢ় কার্যক্রম পেশাদারিত্বের স্বাক্ষর বহন করে।
সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে নতুন সংযোজিত ট্যাংক এমবিটি-২০০০, এপিসি বিটিআর-৮০, সেল্ফ প্রোপেলড আর্টিলারি গান, নোরা-বি-৫২, রাডার বিহেকেল এসএলসি-২, ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল এমইটিআইএস-এম-১ সমরাস্ত্রের ব্যবহার, ইঞ্জিনিয়ার ও অন্য সব কোরে পেশাদারিত্ব দেখে আমি সেনাবাহিনীর সার্বিক সক্ষমতায় সম্পূর্ণ আশ্বস্ত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের এ মহড়া, সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও পেশাদারিত্বেরই প্রতিফলন, যা একটি আধুনিক ও শক্তিশালী সেনাবাহিনীর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
১১ পদাতিক ডিভিশনের তত্বাবধানে এবং ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সেনাবাহিনীর ওই ম্যানুভার অনুশীলন মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফ আশরাফ মহড়াটি পরিচালনা করেন। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহম্মদ শফিউল হক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ছাড়াও নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধান, সংসদ সদস্য, জিওসি ১১ এবং ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের অফিসার, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার, নন কমিশন্ড অফিসার ও সৈনিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর মহড়া অবলোকন এবং বিভিন্ন উন্নয়নকাজের উদ্বোধন করতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদী থেকে জেগে ওঠা জাহাইজ্জার চর সফর করেন। চরটির নতুন নামকরণ করা হয় স্বর্ণদ্বীপ। দুপুরে হেলিকাপ্টারে করে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণদ্বীপ পৌঁছে মাল্টি পারপাস সাইক্লোন সেন্টারের উদ্বোধন করেন এবং সেখানে একটি নারকেল গাছের চারা রোপণ করেন।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর কোয়াটার মাস্টার জেনারেল লে. জেনারেল আনোয়ার হোসেন দ্বীপটি গড়ে তোলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদক্ষেপ এবং কর্মকান্ড নিয়ে একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। নোয়াখালীর দক্ষিণে ১৯৭৮ সালে মেঘনা নদীতে জেগে ওঠে এই চর। ৩৬০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই চরটি ২০১৩ সালে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং বসতি স্থাপনের উপযোগী করে তুলতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।