• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সেই ক্রিকেট জুয়াড়ীর চালে বোল্ড আউট মোস্তফা কামাল


প্রকাশিত: ৭:৫১ পিএম, ২৯ মার্চ ১৫ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৯২ বার

Praiz-geving- srine-www.jatirkhantha.com.bdঅনলাইন ডেস্ক রিপোর্টার.ঢাকা:
সেই ক্রিকেট জুয়াড়ীর চালে বোল্ড আউট মোস্তফা কামাল ।স্পট ফিক্সিংয়ের বিতর্কের বোঝা মাথায় নিয়ে এই শ্রীনিকে কিন্তু আদালতের নির্দেশে সরে যেতে হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সভাপতির পদ থেকে। এমন বিতর্কিত ব্যক্তি কিনা এখন আইসিসির সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী!

১৯৯৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে লর্ডসে স্টিভ ওয়াহদের হাতে শিরোপা তুলে দিয়েছিলেন ওই সময়ের আইসিসি সভাপতি জগমোহন ডালমিয়া। এরপর এ নিয়মটিই দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। আইসিসির গঠনতন্ত্রও তা-ই বলে। সে হিসেবে আজ অস্ট্রেলিয়ার হাতে শিরোপা তুলে দেওয়ার কথা বর্তমান আইসিসি সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামালের। কিন্তু ঘটল ভিন্ন ঘটনা। এবার আইসিসি সভাপতি নয়, শিরোপা তুলে দিলেন আইসিসি চেয়ারম্যান এন শ্রীনিবাসন।

Kamal-1426940603ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার পরিবর্তিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এমনিতেই সভাপতির পদটি এখন কেবলই আলংকারিক। সব নির্বাহী ক্ষমতা চেয়ারম্যানের হাতে। কিন্তু পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আইসিসি সভাপতির থাকার কথা। আইসিসির গঠনতন্ত্রে বলা আছে, ‘বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় শিরোপা তুলে দেবে সভাপতি।’ প্রশ্নটা এখানে, তবুও কেন মুস্তফা কামালকে দেখা গেল না পুরস্কার মঞ্চে? সেখানে কেন শ্রীনি? অথচ সূত্র জানাচ্ছে, মুস্তফা কামাল এ মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন। বিষয়টি কি গোলমেলে নয়?

ঘটনার নেপথ্যে কী কাজ করেছে, বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এমসিজিতে কোয়ার্টার ফাইনালে বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন কামাল। কেবল আম্পায়ারদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে ক্ষান্ত হননি, প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন আইসিসিতে ভারতের একচেটিয়া দাপটের বিরুদ্ধেও। এমনকি আইসিসি থেকে পদত্যাগ করারও হুমকি দিয়েছিলেন তখন।

বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেনি ভারত। কামালের মন্তব্যে বেশ চটেছে তারা। শোনা যাচ্ছে, ম্যাচের আগে কামালের সঙ্গে শ্রীনির নাকি একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠকও হয়। সেখানে কামাল পুরস্কার বিতরণীতে তাঁর হাত দিয়ে ট্রফি দেওয়ার যুক্তি হিসেবে আইসিসির গঠনতন্ত্রের কথা তুলে ধরেন। কিন্তু শ্রীনি তা আমলেই নেননি। বরং তাঁকে কোণঠাসা করে রাখার ব্যবস্থা করেন।তথ্যসূত্র: টেলিগ্রাফ কলকাতা।