সূচি’বাহিনীর মাইনে ৩ রোহিঙ্গা নিহত
বান্দরবান থেকে ফিরে সাইফুল বারী মাসুম : এবার সীমান্তে অং সান সূচি’র সীমান্ত বাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে নিহত 
হয়েছে তিন নিরীহ রোহিঙ্গা। জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের রিজু আমতলী ও বাইশফাঁড়ি এলাকায় পৃথক দুটি স্থলমাইন বিস্ফোরণে এ ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হয়েছে এবং আরও ৪ জন আহত হয়েছেন।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে: কর্নেল মঞ্জুরুল আহসান সীমান্তে পৃথক দুটি স্থলমাইল বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও আহত হওয়ার বিষয়টি জাতিরকন্ঠকে নিশ্চিত করেছেন। এদিকে সীমান্তে এখন নতুন করে দেখা দিয়েছে স্থলমাইন আতঙ্ক। সীমান্তে বিপুল সংখ্যক স্থলমাইন ও উচ্চ ক্ষমতার বিস্ফোরক মাটিতে পুঁতে রেখেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিপি।
রোববার সকালেও বাইশফাঁড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ হলে আরো ৩জন রোহিঙ্গা আহত হয়। আমরা তাদের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করছি। তাদের আত্মীয় স্বজন ছাড়া নাম ঠিকানা জানা সম্ভব হচ্ছেনা বলে তিনি জানান। ওবাইদুল্লাহসহ একাদিক রোহিঙ্গা জানান, সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দেয়ার সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তারা কাঁটাতারের বেড়ার কাছে গর্ত করে বিপুল পরিমাণ স্থলমাইন ও বিস্ফোরক মাটির নিচে পুঁতে রাখছে। কাঁটাতারের বেড়ার কাছে গেলেই স্থলমাইন বিস্ফোরণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাতে রিজু আমতলী সীমান্ত দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে একদল রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার সময় মাটিতে পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরিত হয়। এসময় ঘটনা স্থলে ৩ জন রোহিঙ্গা মারা যায়। এসময় আহত হয় ১ জন। রোববার সকালে বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার সময় মাটিতে পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরিত হলে ৩ জন রোহিঙ্গার পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ উড়ে যায়।
ঘটনার পর কিছু রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উখিয়া কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসে। তবে মাইন বিস্ফোরণে নিহত ও আহতদের নাম এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বান্দরবানের ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, শনিবার রাতে রেজু অমতলি সীমান্তের জিরো লাইনের কাছে স্থলমাইন বিস্ফোরণ হলে ৩ রোহিঙ্গা নিহত ও একজন আহত হন।
