আজ বুধবার বিকেলে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ এসব দাবির কথা সাংবাদিকদের জানান।ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিষয়ে একগুচ্ছ দাবি নিয়ে বেলা তিনটার দিকে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বিএনপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
আ স ম হান্নান শাহ ছাড়াও স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, বিএনপি নেতা সৈয়দ সুজাউদ্দিন ও মুশফিকুর রহমান, নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব আব্দুর রশীদ সরকারসহ সাতজন নির্বাচন কমিশনে যান। আব্দুর রশীদ সরকার এক এগারোর আগের নির্বাচন কমিশনের সচিব ছিলেন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আ স ম হান্নান শাহ ও জমির উদ্দিন সরকার।
হান্নান শাহ সাংবাদিকদের বলেন, সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ তাঁদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। আইনের মধ্যে থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যা যা করা দরকার তিনি করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। হান্নান শাহ বলেন, তাঁরা রাজনৈতিক দল হিসেবে সিইসির কাছে কিছু পয়েন্ট দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিএনপির নয়াপল্টনের অফিস ও খালেদা জিয়ার অফিসের তালা খুলে দেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করতে সিইসিকে তাঁরা অনুরোধ করেছেন।
হান্নান শাহ বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সবার জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) দরকার। আমাদের প্রার্থীরা যাতে ভোটারদের কাছে যেতে পারে, সে জন্য আমরা সেনা মোতায়েনের দাবি করেছি। নির্বাচনী এলাকায় যাতে সন্ত্রাসী-মাস্তানি না হয় সে জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছি। আর ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা আগেই প্রকাশ করতে বলেছি যাতে বিতর্কিত কেউ যেন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে না পারে।’
স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য জমির উদ্দিন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দুটি পার্টি অফিসে তালা, এটা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। অজ্ঞাতনামা দুই হাজার ব্যক্তির নামে মামলা আছে, এই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের ধরার নামে যেন আমাদের দলীয় লোকদের ধরে নিয়ে না যায়। যে লোক জামিনে আছে তাদের যেন হয়রানি না করা হয়।
কারও বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক চার্জ গঠনের আগে কাউকে ধরা বেআইনি। সিইসি বলেছেন, সামনে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিং আছে, সেখানে বিষয়গুলো আলোচনা করবেন।’ সাংবাদিকেরা জানতে চান, তাঁরা সিইসির বক্তব্যে সন্তুষ্ট কি-না? এর জবাবে সাবেক এই স্পিকার বলেন, সন্তুষ্টি নির্ভর করছে সিইসির কাজের ওপর।
হান্নান শাহ বলেন, প্রার্থী যদি ভোটারের কাছে যেতে না পারে, তাহলে সেটা আর ভোট হবে না। সিইসি বলেছেন ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সে জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা বাড়িয়ে দেবেন। তিনি বলেন, করণিক ভুলের কারণে আবদুল আউয়াল মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তাঁরা সিইসিকে বিষয়টি বলেছেন। তিনি (সিইসি) আপিল করতে বলেছেন, বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।