সুলতানি আমলের ৪২ গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ মিলেছে জলঢাকায়
জলঢাকা প্রতিনিধি : নীলফামারীর জলঢাকায় আটশ’ বছর আগের সুলতানি আমলে তৈরি ৪২ গম্বুজবিশিষ্ট একটি মসজিদের সন্ধান মিলেছে। উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের পাইটকাপাড়া গ্রামে সতীশেরডাঙ্গা এলাকায় প্রত্নতত্ত্ব খননের পর এ মসজিদটির সন্ধান পাওয়া যায়। এরই মধ্যে একে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম্বুজ মসজিদ বলে জানিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ নিদর্শনটি পরিদর্শন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব মো. ইব্রাহীম হোসেন
খান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলতাফ হোসেন, মহাস্থান জাদুঘর কস্টেরিয়ান মুজিবুর রহমান, তাজহাট জমিদারবাড়ির কস্টেরিয়ান আবু সাইদ ইনাম তানভীরুল, মহাস্থান জাদুঘরের সহকারী কস্টেরিয়ান এস এম হাসানাত বিন ইসলাম, স্থানীয় ইউএনও মুহম্মদ রাশেদুল হক প্রধান, ইউপি চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান ও কামরুল আলম কবির।
জানা যায়, গত নভেম্বর থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক মোছা. নাহিদা সুলতানার নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি দল ধর্মপাল ইউনিয়নের গড় ধর্মপাল ও সতীশেরডাঙ্গায় খননকাজ শুরু করে। গড় ধর্মপাল খনন করে তারা পাল বংশীয় বিভিন্ন নিদর্শন উদ্ধার করেন। পরে ওই ইউনিয়নে সতীশেরডাঙ্গায় খননকাজ শুরু করে সুলতানি আমলের মসজিদটির ৩০টি পিলার আবিষ্কার করেন তারা।
খননকাজে নিয়োজিত পাহাড়পুর জাদুঘরের কস্টেরিয়ান ছাদেকুজ্জামান জানান, ২৪ দশমিক ৭৬ গুণ ২০ দশমিক ৫৭ মিটার পরিমাপের ৪২ গম্বুজবিশিষ্ট আয়তাকার ৩০টি পিলারের ওপর মসজিদটির ভিত্তি নকশা আবিষ্কার করা হয়েছে। মসজিদটি ১২০০ খ্রিস্টাব্দে সুলতানি আমলে তৈরি।
বাগেরহাটে ষাট গম্বুজ মসজিদটি বাংলাদেশের একটি বড় প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন। এতদিন এর পরই দ্বিতীয় স্থানে ছিল যশোরের বারো বাজার সাতগাছিয়া গায়েবানা মসজিদটি। কিন্তু পাইটকাপাড়া সতীশেরডাঙ্গার ৪২ গম্বুজ মসজিদটি বর্তমানে সেই স্থান দখল করেছে। সাংস্কৃতিক সচিব ইব্রাহীম হোসেন খান বলেন, এই এলাকায় এসব প্রাচীন নিদর্শন নিয়ে প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘর করার পরিকল্পনা আছে সরকারের।