সুরেন্দ্র’র পদত্যাগে মওদুদের মাইন্ড!
স্টাফ রিপোার্টার : সুরেন্দ্র’র পদত্যাগে মাইন্ড করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি দাবি করেছেন, প্রধান বিচারপতির পদত্যাগে গোটা জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতিকে ছুটি নিতে সরকার বাধ্য করেছে।
এতে করে বিচারবিভাগের যে স্বাধীনতা ছিল এই সরকার নস্যাত করেছে করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল।
মওদুদ আহমদ বলেন, আজকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নাকি পদত্যাগ করেছেন! যা বিচারবিভাগের ও আদালতের স্বাধীনতার জন্য কলঙ্কের দিন। তাকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে। বিচারবিভাগের যে সামান্য স্বাধিনতা ছিল এই সরকার তা নস্যাৎ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায় সরকারের বিপক্ষে গেছে বলেই এ ঘটনা ঘটলো। দেশের সর্বোচ্চ রায়ের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে তারা এসব করলো। অথচ সরকার রিভিউ আবেদন করতে পারতো। তারা সমন্বিতভাবে সিনহাকে ব্যাক্তিগতভাবে আক্রমণ করে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করল।
সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারবিভাগের স্বাধীনতার ও ঐতিহ্য নিয়ে আমরা যে গর্ববোধ করতাম তা আর থাকলোনা। এসকে সিনহার পদত্যাগের মধ্যদিয়ে সরকারের কোনো লাভ হলো কিনা জানিনা তবে গোটা জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হলো। বিচার বিভাগের মান আমরা উদ্ধার করতে পারবো কিনা সন্দেহ আছে। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। এটা ফিরিয়ে আনতে হবে। তা না হলে সুষ্ঠু ভোট হবেনা। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবেনা। আমরা বিপুল ভোটে জয়ী হবো।
মওদুদ বলেন, বেগম জিয়া লন্ডনে একান্ত ব্যাক্তিগতভাবে চিকিৎসার জন্য গেছিলেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করল। কিন্তু দেশে ফিরে তিনি আদালতে হাজিরা দিয়ে তো সাপ্তাহিক জামিন পেলেন। বিষয়টি কেমন হলো? ৫০ বছরের আইন পেশায় আমি এ ধরনের ঘটনা শুনিনি। এটা করে নেত্রীকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। প্রমাণিত হয় যে আদালত সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলছে। সাপ্তাহিক জামিন দেয়ার বিষয়টি অশোভনীয় আচরণ। আসলে বিচার বিভাগের স্বাধিনতা নেই।