সুন্দরী নারী পাকরাও করে ধর্ষণ শেষে খুন করত সিরিয়াল কিলার
কলকাতা ২৪ অবলম্বনে দিনা করিম : ঠগ বেহরাম নামেই কাফি! অবশ্য ওর নামটা কেউ’ই জানত না। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর ধরা পড়ে এই ভয়ংকর খুনী। এই কিলার সুন্দরী নারী পাকরাও করে ধর্ষণ করে খুন করত। এটাই ছিল তাঁর নেশা। সিরিয়াল কিলার বলতে কি মনে পড়ে আপনার?
কেউ বলবেন চার্লস শোভরাজ, যে সুন্দরী মহিলাদের আকৃষ্ট করে তাদের মেরে ফেলত। অথবা ‘জ্যাক দ্য রিপার’, যার পরিচয় এখনও অজানা। এমন অনেক নাম রয়েছে। কিন্তু জানেন, বিশ্বের সবথেকে কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার ছিল এক ভারতীয়! অষ্টাদশ শতকের গোড়ার দিকে যার নামে লোকে ভয়ে কাঁপত।
সেইসময় ‘ঠগ’ বলে পরিচিত ছিল উত্তর ভারতের আওয়াধের ডাকাতরা। আর তাদের একজন নেতা থাকত। সেরকমই একজন ঠগ নেতা ছিল ঠগ বেহরাম। সেই ছিল বিশ্বের ভয়ঙ্করতম সিরিয়াল কিলার। যার ৯৩১জনকে খুন করার রেকর্ড ছিল। ‘মৃত্যুর দেবী’ হিসেবে পূজিত কালী ঠাকুরের ভক্ত ছিল এই ঠগেরা।
তারা নিজেদের ধর্মীয় দায়িত্ব হিসেবে খুন করত নিষ্পাপ মানুষকে। টাকার ন্য নয় ধর্মের জন্যই খুনের পর খুন করত তারা। ঠগ বেহরামের ভয়ে কেউ তার এলাকা দিয়ে যাতায়াত করত না। তার হাতে থাকত একটা হলুদ রুমাল। সেটা দিয়ে প্রথমে মুখ বেঁধে দিত। এরপর গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করত মানুষজনকে।
১৮০০ সালে বহু ব্যবসায়ী, পর্যটক, জওয়ান, এমনকি একটা আস্ত গাড়ি উধাও হয়ে গিয়েছে তার এলাকায়। পুলিশও বুঝে উঠতে পারত না যে ঠিক কি হচ্ছে। পরে ক্যাপ্টেন স্লিমান খুঁজে বের করেন, যে বেহরাম ও তার ২০০ সাঙ্গপাঙ্গ এই হামলা চালাচ্ছে। দিল্লি-জব্বলপুর রুটে চলছে এই হামলা। প্রায় বছর দশেক বাদে বেহরামকে গ্রেফতার করে স্লিম্যান।
পুলিশ জানতে পারে ব্যবসায়ী সেজে ঘুরে বেড়াত এই ঠগেরা। তারা ‘রামোসি’ নামের সাংকেতিক ভাষায় কথা বলত। তারা বিশেষ ইঙ্গিত দিলেই ছুটে আসত বেহরাম। ১৮৪০-এ তাকে ধরা হয়। তার বিরুদ্ধে ৯৩১টি খুনের মামলা ছিল। যদিও মাত্র ১২৫টির কথা স্বীকার করে সে। তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়: তার হলুদ রুমালটি এখনও মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে।