• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

‘সুন্দরবন সংরক্ষণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে’


প্রকাশিত: ১২:৪৪ এএম, ১১ ডিসেম্বর ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩০৬ বার

বিশেষ প্রতিনিধি  :  পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, সুন্দরবনে একটি বিশেষ ধরনের গাছ আছে যা সব জায়গায় হয় না। baon-montry-www-jatirkhantha-com-bdশুধুমাত্র লবণাক্ত পানিতে এ গাছ জন্মে। সুন্দরবন সংরক্ষণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রয়োজনে এখানে নতুন করে গাছ লাগানো হবে।
শনিবার বিকালে সুন্দরবনের হারবাড়িয়া ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রের কাছে পর্যটন জাহাজ ‘এমভি টাঙ্গুয়ার হাওরে’ অনুষ্ঠিত জরিপ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বলেন, এ জরিপ দেশের সরকারি বন ও গ্রামীণ বনের উন্নয়ন, ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের উদ্যোগকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিবে। পাশাপাশি সরকার তথা বন বিভাগ বনের অবক্ষয় রোধ এবং বনবৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন বাস্তবমুখী যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সেখানে বিশেষ অবদান রাখবে।

এই উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সারাদেশে দ্বিতীয় বারের মত বৃক্ষ ও বনজরিপ-২০১৬ শুরু হয়েছে। এ জরিপের আওতায় সারাদেশের প্রায় ১ হাজার  ৮৫৮ স্থানে এ জরিপ কাজ চালানো হবে। প্রথম বছরে সুন্দরবন ও দেশের উপকূলীয় ও পাহাড়ি এলাকায় এ জরিপ কাজ করা হবে। পরের বছর দেশের অন্যান্য স্থানে এ জরিপ কাজ চালবে।

প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুছ আলীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. ফারুক হোসেন, উপ প্রধান বন সংরক্ষক জহীর ইকবাল, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিসংস্থা (এফএও) চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ও ইউএসএআইডির প্রতিনিধি হেনরি মেথিউ, খুলনার বন সংরক্ষক জহির উদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।

বনবিভাগ সূত্র জানায়, বনজ সম্পদের সুরক্ষা, সর্বোত্তম ব্যবহার সুনিশ্চিত, বনের আচ্ছাদন বৃদ্ধি এবং বন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশে এ জরিপ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের বন অধিদপ্তর এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

তাদের সহযোগিতা করছে স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় সরকার, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিসংস্থা (এফএও), ইউএসএআইডি এবং সিলভাকার্বন। আগামী ২০১৮ সালে এ জরিপ কাজ শেষ হবে। এর আগে ২০০৫ সালে সারাদেশে এ ধরনের জপির কাজ চালানো হয়। তবে সেটি পূর্ণাঙ্গ জরিপ কাজ ছিল না।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিসংস্থা (এফএও) চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হেনরি মেথিউ বলেন, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশের বনজসম্পদ জরিপ কাজ সম্পন্ন করা হবে।

বাংলাদেশ বনবিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুস আলী বলেন, আমরা সমন্বিতভাবে বনজসম্পদ জরিপ কাজ শুরু করেছি। ইউএসএআইডি এ জরিপ কাজে অর্থায়ন করছে। এর মাধ্যমে বন ও বৃক্ষ জরিপ করা হবে। জরিপের মাধ্যমে আমাদের কি পরিমাণ বন ও কাঠ আছে তা জানা যাবে। সন্ধ্যায় পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বাগেরহাটের রামপালে নির্মাণাধীন তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।