• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

সুনামগঞ্জ তাহিরপুর চারাগাঁও সীমান্তে ৪টি চোরাই গুহা দিয়ে অবাধে কয়লা পাচার


প্রকাশিত: ২:২৪ এএম, ২০ নভেম্বর ১৪ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৩৬ বার

 

colemine-www.jatirkhantha.com.bdসুনামগঞ্জ সংবাদদাতা:
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা চোরাচালানীদের অপতৎপরতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন রাতের আধাঁরে পাচাঁর করা হচ্ছে শত শত বস্তা কয়লা। সুুনামগঞ্জ ৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসারের কড়া নজরদারির কারণে ক্ষনিকের জন্য চোরাচালান বন্ধ হলেও স্থানীয় বিজিবি সোর্সদের প্রত্যক্ষ মদদে গত সপ্তাহ খানেক যাবত চাঁরাগাঁও সীমান্তে চোরাচালানীরা আবারও সক্রিয় হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানায়,মঙ্গলবার রাত ৮টায় চাঁরাগাঁও সীমান্তের ১১৯৬ পিলার সংলগ্ন পশ্চিম দিকে অবস্থিত বাঁশতলা এলাকা দিয়ে ভারত থেকে কয়লা পাঁচারের সময় শ্রমিক মনা মিয়া চোরাই কয়লার গোহায় চাঁপা পড়ে গুরুতর আহত হয়। সে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের চাঁরাগাঁও গ্রামের চান মিয়া মুন্সির ছেলে। আইনি ঝামেলা এড়াতে ওই শ্রমিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না নিয়ে তাকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাঁশতলা ও লালঘাট গ্রামের বাসিন্দারা জানান,উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জয়ধর আলীর নেতৃত্বে চাঁরাগাঁও গ্রামের ফরিদ মিয়া,হাকিম মিয়া,মতুর্জ আলী,নবাবপুরের নূর ইসলাম ও লালঘাট গ্রামের আব্দুল আলী,আব্দুল হাই,একদিল মিয়া,আলী রহমান,রহিম উদ্দিন,হরমুজ আলী,ঝানু মিয়া,মোহাম্মদ আলী,মঞ্জিল মিয়া,জয়নাল মিয়াসহ প্রায় শতাধিক চোরাচালানীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ১১৯৬ পিলারের দুইদিকে অবস্থিত লালঘাটে ৩টি ও বাঁশতলায় ১টিসহ মোট ৪টি চোরাই গুহা দিয়ে অবাধে কয়লা পাচাঁর করছে।

এজন্য চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের নামে আওয়ামীলীগ নেতার ছেলে নজরুল মিয়া ও লালঘাটের জয়নাল মিয়া বিজিবি সোর্স পরিচয় দিয়ে প্রতি কয়লার বস্তা থেকে ৭০টাকা হারে চাঁদা উত্তোলন করছে। পরবর্তীতে পাচাঁরকৃত কয়লা চাঁরাগাঁও ক্যাম্প সংলগ্ন চোরাচালানী ফরিদ মিয়ার বাড়ির উঠানে ও আওয়ামীলীগ নেতা জয়ধর আলীর বাড়ির পাশে মজুত রেখে নৌকা যোগে নদীপথে বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছে। colmmmmmmmmmm

সম্প্রতি লালঘাট গ্রামের হোসেন আলী নামের এক যুবক চোরাচালানের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ করায় তার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে স্বপরিবারে আহত করে চোরাচালানী জয়নাল মিয়া ও তার লোকজন। পরে সালিশের মাধ্যমে এবিষয়টি সমাধান করা হয়। এব্যাপারে জয়ধর আলী বলেন,বিচ্ছিন্ন ভাবে কয়লা পাচাঁর হচ্ছে তবে আমি এসবের সাথে জড়িত না,এবিষয়ে আমি আর কিছু বলতে পারবনা। চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার মহসিন কয়লা চোরাচালানের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আমরা কয়লাসহ চোরাচালানীদের ধরার চেষ্টা করেও ধরতে পারছিনা,তবে সব সময় তৎপর রয়েছি।