সীতাকুণ্ডে নিহত দুই জঙ্গি ঢাকার মনিপুরের ধনীর দুলাল
প্রিয়া রহমান : সীতাকুণ্ডে নিহত দুই জঙ্গি ঢাকার মনিপুরের ধনীর দুলাল। গোয়েন্দা সূত্র জাতিরকন্ঠকে জানায়, চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের আমিরাবাদের জঙ্গি আস্তানায় নিহতদের মধ্যে দু’জন ঢাকার মিরপুর থেকে নিখোঁজ হওয়া উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান।এরা হচ্বেছ যথাক্রমে রাফিদ আল হাসান ও আয়াদ হাসান।
তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে দুই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে গোয়েন্দারা। উভয় পরিবার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।রাফিদ ও আয়াদ ছিল সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই। গত বছরের ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় এ দুই তরুণ একসঙ্গে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের আর খোঁজ পাচ্ছে না তাদের পরিবার।
রাফিদের মা নীলুফা ইয়াসমিন শিল্পী বলেন, একদিন আগে পুলিশ আমাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেছিল। তাদের ধারণা সীতাকুণ্ডের প্রেমতলায় নিহতদের মধ্যে রাফিদ থাকতে পারে। এজন্য তারা শনাক্তকরণের জন্য আবারও যোগাযোগ করবেন বলেছেন।আয়াদের পরিবারের সঙ্গেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যোগাযোগ করেছে বলে জানান রাফিদের মা। তিনি বলেন, রাফিদ ও আয়াদ নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল। পুলিশ তাদের খুঁজে বের করতে পারেনি। আমরা এখনও জানি না তারা কোথায় আছে, কীভাবে আছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়,চট্টগ্রামের জঙ্গি আস্তানায় নিহতদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় শনাক্ত করতে ঢাকা থেকে নিখোঁজ রাফিদ ও আয়াদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। এছাড়া সেখান থেকে আটক হওয়া জঙ্গিদের ছবি দেখিয়ে শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে।পুলিশ ও দুই পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মিরপুরের মণিপুরে পরিবারের সঙ্গে থাকতো রাফিদ।
তার বাবা প্রকৌশলী তৌফিক হাসান। আর আয়াদের বাবা মৃত আলী হাসান, মা মুনমুন আহমেদ। পরিবারের সঙ্গে সে পূর্ব মণিপুরের একটি বাড়ির পঞ্চম তলায় থাকতো। গত ১৬ মার্চ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সীতাকুণ্ডের প্রেমতলার জঙ্গি আস্তানায় চালানো অপারেশন অ্যাসল্ট সিক্সটিনে চার জঙ্গি নিহত হয়েছে।
তাদের মধ্যে এক নারী ও তিন জন পুরুষ। এর মধ্যে দুই জনের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। তারা সবাই ছিল নব্য জেএমবির সদস্য।
প্রেমতলার ওই বাড়িতে জিম্মি থাকা সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান চালানোর সময় সোয়াত টিমের দুই জন, পুলিশের একজন এবং ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য আহত হন।