সিয়াম সাধনার খুশির ঈদ
বিশেষ প্রতিনিধি : সিয়াম সাধনার খুশির ঈদ আজ।দেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সোমবার উদযাপিত হবে মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।রোববার সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
এবার ২৯ দিনেই শেষ হলো মুসলমানদের সিয়াম সাধনার পবিত্র মাস রমজান। ঈদুল ফিতর মুসলিম বিশ্বের জন্য এক আনন্দঘন উৎসব। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে ছেলে, বৃদ্ধ সবাই শামিল হবেন ঈদগাহ ময়দানে। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে মুসল্লিরা কোলাকুলি করবেন একে অপরের সঙ্গে। দোয়া ও মোনাজাত করবেন বিশ্ব মুসলিমের ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং মুসলিম জাহানের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনার অঙ্গীকারে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের প্রায় প্রতিটি ঘরে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সাধ্যমতো সব পরিবারই নতুন জামা-কাপড় কিনেছে। খাবার তৈরির জন্য কেনা হয়েছে সেমাই, চিনি, দুধসহ সুস্বাদু খাদ্যসামগ্রী। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদের আগে দরিদ্র লোকদের ফিতরা-জাকাত দিয়ে থাকেন। এবারের সর্বনিন্ম ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ টাকা। ইসলামের বিধান অনুযায়ী ঈদের জামাতের আগেই ফিতরা পরিশোধ করে দিতে হয়।
ঈদে রোগীদের জন্য হাসপাতাল এবং এতিমখানা ও বন্দিদের জন্য জেলখানায় থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। সরকারি শিশুসদন, ছোটমণি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র এবং দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে থাকবে উন্নতমানের খাবার এবং বিনোদনের ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের সব কারাগারে পরিবেশন করা হবে উন্নতমানের খাবার।
এরই মধ্যে ঈদের আনন্দ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। নাড়ির টানে মানুষ ছুটছে গ্রামের পানে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যরাও নিজ নিজ এলাকায় জনগণের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করবেন। এদিকে ঈদের জন্য আজ থেকে তিন দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। অবশ্য শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি সরকারি ছুটির সঙ্গে যোগ হয়েছে।
এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পৃথক বাণীতে দেশবাসীর প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বাণীতে তারা বিশ্ব মুসলিমের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।
বাস, লঞ্চ টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দর ঘিরে থাকবে চারস্তরের নিরাপত্তা। ঢাকার সব প্রবেশপথে থাকছে অতিরিক্ত ফোর্স। প্রতিটি বাস টার্মিনালে তৈরি করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশের সব বিভাগে গঠন করা হয়েছে কুইক রেসপন্স টিম।