• সোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪

‘সিমান্ত হত্যারোধে বিএসএফকে লাঠি দিন’


প্রকাশিত: ৬:০৪ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ১৭ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৫১ বার

মিরপুর প্রতিনিধি :  সিমান্ত হত্যারোধে বিএসএফকে লাঠি দেয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশী বিহারী পূণর্বাসন সংসদ bihari-nayaz-www.jatirkhantha.com.bd(বিবিআরএ) এর  প্রধান পৃষ্ঠপোষক নেয়াজ আহমদ খান। গত(রোববার) বিকালে রাজধানীর মিরপুর-১১ এর বিহারী রহমত ক্যাম্প সংলগ্ন সড়কে বাংলাদেশী বিহারী পূণর্বাসন সংসদ (বিবিআরএ) পল্লবী থানা শাখা ভারতের ৭০তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এ আহবান জানান। বিবিআরএ ৫নং ওয়ার্ডের সিনিয়র সহ সভাপতি ফাইয়াজ আহমদ মুন্না সভায় সভাপতিত্ব করেন।

আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ও বিবিআরএ এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক নেয়াজ আহমদ খান বলেন যে, আজকের দিনটি ইতিহাস হয়ে থাকবে, কেননা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ৭০ বছরের ইতিহাসে আজই প্রথম উদূর্ভাষী বিহারীরা এদেশের মাটিতে ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা করছে।

বিহারী ক্যাম্পের কিছু রিলিফখোর ও দালাল চক্র এতদিন বিহারীদের পাকিস্তানী বানিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করেছে। বিহারীরা হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের সেতু স্বরূপ। বিহারীদের এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিবেশী ভারতের সাথে মৈত্রীর সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরো বলেন যে, ভারত কর্তৃক পাকিস্তানী আমলের নীতি ও কৌশল অনুসরণ করার কারনে বাংলাদেশের মানুষের সাথে ভারতের সম্পর্কের ছন্দপতন ঘটছে।

বিবিআরএ এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক অবিলম্বে সিমান্তে সকল প্রকার হত্যাকান্ড বন্ধের দাবী জানান এবং বাংলাদেশ সিমান্তে হত্যা বন্ধে বিএসএফ এর হাতে অস্ত্রের পরিবর্তে লাঠি সরবরাহের আহবান জানিয়েছেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের অবহেলিত ও মজলুম বিহারীদের পূণর্বাসনে বাংলাদেশের সরকার ও জনগনের পাশে ভারতকে সাহায্যের হাত প্রসারিত করার আহবান জানিয়েছেন।

আলোচনা সভার বিশেষ অতিথি ও বিবিআরএ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার পারভেজ ভুলু ও সেক্রেটারী জেনারেল মোঃ হানিফ খান তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ভিসার জন্য বাংলাদেশের মানুষকে যাতে হয়রানীর শিকার না হতে হয় তার জন্য অবিলম্বে পোর্ট এন্ট্রি পদ্ধতি প্রবর্তনের জন্য নেতৃবৃন্দ ভারতের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।

সভায় বক্তাগন ফারাক্কার পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবিত “পানি সংরক্ষণাগার” এর মাধ্যমে পানি বন্টনের বিষয়টি ভারত কর্তৃক বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন। সভায় বক্তাগন তাদের পূর্ব পুরুষদের কর্তৃক আজাদী আন্দোলন, পাকিস্তান গমন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তাদের কষ্ট ও সংগ্রামের চিত্র তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন। সভায় মাইক বন্ধ করে দেয়ায় বক্তাগন পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

পল্লবী পুলিশ কর্তৃক চাঁদাবাজ, দালাল ও ভূমি দস্যুদের রক্ষক সাজায় সভায় বক্তারা সমালোচনা করেন। বিবিআরএ মিরপুর-১০, ১১, ১২-এর বিভিন্ন শাখার নেতা-কর্মী ব্যানার স্লোগান সহকারে মিছিল করে আলোচনা সভায় যোগদান করে। সভায় কয়েক হাজার ক্যাম্পবাসী অংশগ্রহন করেন। এই সভাকে কেন্দ্র করে পল্লবীর বিহারী ক্যাম্পবাসীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়েছে। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল মোঃ জাহিদ, মহিল নেত্রী রাবেয়া বেগম, নাদিম আনসারী গুড্ডু, আলম শাহ, মোহাম্মদ মানো, মোঃ আরমান, মোঃ মুরশিদ প্রমূখ।

এর পূর্বে বিকাল সাড়ে ৩ টায় মাইকে সভা শুরু করলে পল্লবী পুলিশের দুই কর্মকর্তা এসে জোরপূর্বক মাইক বন্ধ করে দেন। পরে আয়োজকদের হস্তক্ষেপে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে সভা পরিচালনা করা হয়। সভার কার্যক্রম পরিচালনা করেন বয়োজৈষ্ঠ্য বিহারী নেতা শাবান ও মিস শোভা।