• মঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

সিনহা’র চিঠি-সরকারের বিরুদ্ধে হুমকি!


প্রকাশিত: ১২:৪৬ পিএম, ১৪ অক্টোবর ১৭ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৭০ বার

এস রহমান :  সিনহা’র চিঠি-সরকারের বিরুদ্ধে প্রচ্ছন্ন হুমকি! সিনহার চিঠিতেই এ বিষয়টি স্পষ্ঠ করা হয়েছে। তিনি চিঠির শেষ লাইনে লিখেছেন,

খোলা চিঠি প্রধান বিচারপতির
খোলা চিঠি প্রধান বিচারপতির

এটি রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না।’এর আগে লিখেছেন, প্রধান বিচারপতির প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করলে এটি সহজেই অনুমেয় যে, সরকার উচ্চ আদালতে হস্তক্ষেপ করছে এবং এর দ্বারা বিচার বিভাগ ও সরকারের মধ্যে সম্পর্কের আরো অবনতি হবে।

এছাড়াও ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সম্পর্কেও তিনি হুশিয়ারি উচ্চারন করে বলেছেন, ‘প্রধান বিচারপতির প্রশাসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কিংবা সরকারের হস্তক্ষেপ করার কোনো রেওয়াজ নেই। তিনি শুধু রুটিন মাফিক দৈনন্দিন কাজ করবেন।’

এর আগে শুক্রবার রাত ৯টা ৫৬ মিনিটে ঢাকার হেয়ার রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে বিমানবন্দরের পথে গাড়িতে ওঠার আগে প্রধান বিচারপতি নিজ হাতে সাংবাদিকদের একটি চিঠি দেন।প্রধান বিচারপতির নিজ প্যাডে লেখা এই চিঠির নিচে সবুজ কালিতে স্বাক্ষর করেন বিচারপতি সিনহা। কী লিখেছেন সেই চিঠিতে তা অনলাইন দৈনিক জাতিরকন্ঠের পাঠকদের জন্য এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো :-

‘আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। কিন্তু ইদানীং একটা রায় নিয়ে রাজনৈতিক মহল, আইনজীবী ও বিশেষভাবে সরকারের মাননীয় কয়েকজন মন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ব্যক্তিগতভাবে যেভাবে সমালোচনা করেছেন, এতে আমি সত্যিই বিব্রত।আমার দৃঢ় বিশ্বাস সরকারের একটা মহল আমার রায়কে ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করে পরিবেশন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার প্রতি অভিমাsurendro-new case-www.jatirkhantha.com.bdন করেছেন, যা অচিরেই দূরীভূত হবে বলে আমার বিশ্বাস।

সেই সাথে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে আমি একটু শঙ্কিতও বটে। কারণ গতকাল প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনরত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রবীণতম বিচারপতির উদ্বৃতি দিয়ে মাননীয় আইনমন্ত্রী প্রকাশ করেছেন যে, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি অচিরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনে পরিবর্তন আনবেন।

প্রধান বিচারপতির প্রশাসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কিংবা সরকারের হস্তক্ষেপ করার কোনো রেওয়াজ নেই। তিনি শুধু রুটিন মাফিক দৈনন্দিন কাজ করবেন। এটিই হয়ে আসছে। প্রধান বিচারপতির প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করলে এটি সহজেই অনুমেয় যে, সরকার উচ্চ আদালতে হস্তক্ষেপ করছে এবং এর দ্বারা বিচার বিভাগ ও সরকারের মধ্যে সম্পর্কের আরো অবনতি হবে। এটি রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না।’