সার্কে অবিশ্বাস-বাংলাদেশসহ চার দেশ সম্মেলনে যাচ্ছেনা
কূটনৈতিক রিপোর্টার : আগামী নভেম্বরে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ।এই সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে কাঠমান্ডুতে সার্ক সচিবালয়ে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম মঙ্গলবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে ইসলামাবাদের প্রতিক্রিয়া এবং তা নিয়ে কূটনীতিক টানাপড়েনের মধ্যে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা-সার্কের সম্মেলন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিল।
তবে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার বলেন, দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ‘ব্যস্ততার’ জন্য এবার সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যাওয়া হচ্ছে না বাংলাদেশের।
কাশ্মির নিয়ে নয়া দিল্লি ও ইসলামাবাদের উত্তেজনার মধ্যে ভারতও এবারের সার্ক সম্মেলন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি ভারত শাসিত কাশ্মিরে সেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর নয়া দিল্লি পাকিস্তানকে এর জন্য দায়ী করে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এবারের অধিবেশনেও এই নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উত্তেজনা ছড়ায়।
এরপর মঙ্গলবারই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিকাশ স্বরূপ ইসলামাবাদ সম্মেলন বয়কটের কথা জানিয়ে পাকিস্তানকে ইঙ্গিত করে বলেন, সন্ত্রাস ও সহযোগিতা একসঙ্গে চলতে পারে না।ইসলামাবাদের সম্মেলন বয়কটের কথা আফগানিস্তান ও ভুটানও ভাবছে বলে ভারতের সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে।
সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলো হচ্ছে- নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ।
জোটের অধিকাংশ দেশ অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালে সার্কের বর্তমান চেয়ারম্যান নেপাল সম্মেলন স্থগিতের সিদ্ধান্তও নিতে পারে।দক্ষিণ এশিয়াকে এক সূত্রে গাঁথার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৮৫ সালে গঠিত জোট সার্ক এখনও আশার সঞ্চার ঘটাতে পারেনি। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণের পথে বারবারই দিশা হারিয়েছে এই জোট।