সারদা কেলেংকারি পাঁতানো-কলম সম্পাদক
সংখ্যালঘু বলেই আমার বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়া হচ্ছে: আহমদ হাসান
সাংসদ ও ‘কলম’ পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। সারদা কেলেঙ্কারিকে সামনে রেখে তাঁর বিরুদ্ধে নানা মহল থেকে থেকে কুৎসা রটনা হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন তিনি।
ইমরান বলেন, “ যে কোনোভাবে আমাকে সন্ত্রাসবাদী বা জঙ্গি প্রমাণ করতে একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। ওদের সুবিধা হল, আমি সংখ্যালঘু। তাই সহজেই জঙ্গি আখ্যা দিয়ে দেয়া সম্ভব।”
তিনি বলেন, “আমি ৩৫ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছি। আমার জীবন খুবই স্বচ্ছ। ভারতের কোনো আদালতে আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা, এমনকি কোনো থানায় সাধারণ ডায়েরিও যদি কেউ দেখিয়ে দিতে পারে তাহলে আমি ওদের সব কথা মেনে নেব। বরং হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির জন্যই আমি কাজ করেছি।”
আহমদ হাসান তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, “আসলে ওদের লক্ষ্য তৃণমূল। যেহেতু আমি তৃণমূল সাংসদ তাই টার্গেট করা হচ্ছে। যেসব কথা বলা হচ্ছে, যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা শুনে আমি বিস্মিত। আমি নাকি হাওয়ালার (মানি লন্ডারিং) মাধ্যমে বাংলাদেশে টাকা পাঠিয়েছি?! যদি প্রমাণ করতে পারেন সব ছেড়ে দেব।”
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, “আমাকে কে টাকা দেবে? আর আমিও কোন স্বার্থে এই অবৈধ কাজে লিপ্ত হব? বলা হচ্ছে, আমি নাকি বাংলাদেশের জামায়াতের জন্য তৃণমূলের হয়ে টাকা পাঠিয়েছি? এর থেকে সর্বৈব মিথ্যা আর কি হতে পারে? এ তো দেখছি গোয়েবলসীয় কায়দা! বারবার একটি মিথ্যেকে জোর করে বলে, প্রচার করে সত্য বলে প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে। কোনো প্রমাণ ছাড়া শুধু খবরের কাগজের সূত্র ধরে যা মনে আসছে অভিযোগ করা হচ্ছে। এটা কি নৈতিকতার মধ্য পড়ে?”
তার বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন “আমি সংখ্যালঘু বলেই আমার বিরুদ্ধে এত নিন্ম রুচির কুৎসা রটানো হচ্ছে”।