সামান্য ত্রুটি-বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বিল নতুন করে পাস করাতে হবে কাল সোমবার
দেব আনন্দ.নয়াদিল্লী : সামান্য ত্রুটি থাকার জন্য বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বিল আবার নতুন করে পাস করাতে হবে। কাল সোমবার সেই ত্রুটি সংশোধন করে আবার ভোটাভুটি হবে।ত্রুটি সামান্যই। সরকারি কর্মকর্তাদের কথায় ‘টেকনিক্যাল এরর’। কিন্তু তা হলেও ভুল ভুলই। এবং তা সরকারের চোখ এড়ালেও ধরা পড়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারীর নজরে।
২০১৩ সালে যে বিলটি রাজ্যসভায় পেশ হয়েছিল, তা ছিল ১১৯তম সংবিধান সংশোধন বিল। কিন্তু পাস করার পর তা হয় ১০০তম সংবিধান সংশোধন। এই পার্থক্যটি সব জায়গায় স্পষ্ট করে নথিভুক্ত করতে হয়। রাজ্যসভায় আলোচনাকালীন সর্বত্র তা করা হলেও ‘শিডিউলিং’-এ বাদ পড়ে যায়। ফলে বিলটি পাস হলেও তা গ্রাহ্য করা সম্ভব নয়। তাই নতুন করে তা করা হবে।
এখানেই সংশয় দেখা যায়। রাজ্যসভার অধিবেশন ১৩ তারিখে শেষ হলেও কংগ্রেস, বাম, জনতা পরিবার ও তৃণমূল কংগ্রেস ঠিক করেছে টানা তিন দিন তারা সরকারি কোনো কাজই করতে দেবে না। সভা অচল রাখবে। কারণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির সাবেক সর্বভারতীয় সভাপতি নীতিন গড়কড়ির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। শিল্পপতি গড়কড়ির এক সংস্থা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে ৪৮ কোটি টাকা যে ঋণ নিয়েছে, কেন্দ্রীয় অডিট সংস্থা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) তাতে অনেক অনিয়ম দেখতে পেয়েছে। বিরোধীদের দাবি মন্ত্রিসভা থেকে গড়কড়ির অপসারণ।
বিরোধীদের বক্তব্য, কংগ্রেস আমলে কেন্দ্রীয় অডিট সংস্থার প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি সব সময় কংগ্রেসের মন্ত্রীদের অপসারণের দাবি জানাত। কংগ্রেসকে বাধ্যও করিয়েছে কোনো কোনো মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে। কংগ্রেসও এ ক্ষেত্রে তাই প্রধানমন্ত্রীকে বাধ্য করাবে সেই একই ব্যবস্থা নিতে। তাই রাজ্যসভা অচল রাখা হবে। তবে বিরোধীরা ঠিক করেছেন, সীমান্ত বিলের জন্যই সোমবার বেলা দুইটায় তাঁরা সভায় মিলিত হবেন এবং সর্বসম্মতভাবে পাস হওয়া সীমান্ত বিলের ভুল শুধরে আবার তা পাস করাবেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়ান গতকাল এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, ছোট্ট ভুল কিন্তু তা শোধরানো প্রয়োজন বলে বলা হয়েছে। তাই শুধু এ কারণেই বিরোধীরা সোমবার বেলা দুইটায় বিলটি নতুন করে পাস করাতে সভা চলতে দেবেন।