• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর শেল্টারে ধর্ষণ


প্রকাশিত: ৭:৪৫ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২৪ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩০ বার

 

খুলনা প্রতিনিধি : সাবেক ভূমিমন্ত্রীর শেল্টারে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী এক নারী আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান দুই আসামি হচ্ছেন, সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও সাবেক ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ। আদালতে বাদী অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা সাবেক ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ সহচর ও অনুসারী। তাদের বাঁচাতে মন্ত্রী অবৈধ প্রভাব বিস্তার করায়– চিকিৎসা শেষ হওয়ার পূর্বে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়।

বাদীর আর্জি শুনে সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও সাবেক ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের এজাহার গ্রহণে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ আদেশ দেন।মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, আদালত শুনানি শেষে সোনাডাঙ্গা থানাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন— ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ। গত ২৭ জানুয়ারি রাতে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ওই নারী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরদিন হাসপাতালের ওসিসির (ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) সামনে থেকে কয়েকজন লোক জোরপূর্বক ভুক্তভোগীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।

আদালতে বাদী অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা সাবেক ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ সহচর ও অনুসারী। তাদের বাঁচাতে মন্ত্রী অবৈধ প্রভাব বিস্তার করায়– চিকিৎসা শেষ হওয়ার পূর্বে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে মিথ্যা বক্তব্য দিতে বাধ্য করা হয়।
আসামীরা অত্যন্ত ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ায়– তিনি ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় মামলা করেছেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মোমিনুল হক বলেন, বর্তমানে আইনের শাসন পুনপ্রতিষ্ঠিত হওয়ায় মেয়েটি আমাদের কাছে আসে। এখন সে ভয়-ভীতি থেকে মুক্ত হয়েছে এবং সত্য কথা বলার জন্য সে প্রস্তুত। তার বক্তব্য শুনে আমরা সহযোগিতা করার জন্য আদালতে মামলার আবেদন করি। এবিষয়ে সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, আদালত যদি এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেন, তাহলে অবশ্যই আমরা সেই হিসেবে মামলা গ্রহণ করবো।