সাবাস সাব্বির সাকিব-জিম্বাবুয়ে কুপোকাত
স্পোর্টস রিপোর্টার খুলনা থেকে: সাবাস সাব্বির সাকিব-জিম্বাবুয়েকে ৪ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ।সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮ বল হাতে রেখে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা।
১০ বলে দরকার ১১। খানিকটা অনিশ্চয়তা তো ছিলই ম্যাচের ফল নিয়ে। সাকিব আল হাসানের এসব অনিশ্চয়তা-উত্তেজনা ভালো লাগে না। টানা দুই বলে চার মেরে অনিশ্চয়তা দূর করলেন সাকিব। লুক জঙ্গুয়েও ওয়াইডে ৫ রান দিয়ে ঝামেলা চুকোলেন। প্রথম টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশ জিতে গেল ৪ উইকেট আর ৮ বল হাতে রেখে।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন সাব্বির রহমান। এছাড়া তামিম ইকবাল ২৯, মুশফিকুর রহিম ২৬ রান করেন। সাকিব আল হাসান ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে গ্রায়েম ক্রেমার ২টি এবং ওয়ালিংটন মাসাকাদজা, লুক জংয়ে ও শন উইলিয়ামস একটি করে উইকেট নেন। শুক্রবার বেলা ৩টায় খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়। টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা।
ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় জিম্বাবুয়ে। এতে জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬৪ রান। জিম্বাবুয়ের পক্ষে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা সর্বোচ্চ ৭৯ রান করেন। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ভুসি সিবান্দা করেন ৪৬ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান ও আল-আমিন হোসেন ২টি করে এবং সাকিব আল হাসান ১টি উইকেট নেন। জয়ের জন্য ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবার ও সৌম্য সরকার দলকে ভালো সূচনা এনে দেন। তিন ওভার তিন বলে দলীয় সংগ্রহে ৩১ রান যোগ করেন তারা।
দলীয় ৩১ রানেই দুই ব্যাটসম্যানের ভুল বোঝাবুঝিতে সৌম্য সরকার রান আউট হয়ে ফিরে গেলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন হয়। সৌম্য করেন ৭ রান।
এরপর ব্যাট করতে নামে সাব্বির রহমান। তাকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩ ওভার ১ বলে দলীয় সংগ্রহে আরও ২৭ রান যোগ করেন তামিম। ইনিংসের সপ্তম ওভারে দলীয় ৫৮ রানে তামিম সাজঘরে ফিরে গেলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয়। গ্রায়েম ক্রেমারের বলে সিবান্দার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৩টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ২৪ বলে ২৯ রান করেন তামিম।
তামিমের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া শুভাগত হোম। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৭৪ রানে তাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরত পাঠান জিম্বাবুয়ের স্পিনার শন উইলিয়ামস। শুভাগত করেন ৬ রান।
এরপর ব্যাট করতে নামেন মুশফিকুর রহিম। তাকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটতে সাব্বির পাঁচ ওভার ১ বলে দলীয় সংগ্রহে ৪৪ রান যোগ করেন। পঞ্চদশ ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ১১৮ রানে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হন সাব্বির। ক্রেমারের বলে ওয়ালারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৪টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে ৩৬ বলে ৪৬ রান করেন তিনি।
ওয়েলিংটন মাসাকাদজার করা পরের ওভারের পঞ্চম বলে সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকও। তিনটি চারের সাহায্যে ১৯ বলে ২৬ রান করেন তিনি। ইনিংসের ১৭তম ওভারে দলীয় ১৩৭ রানে মাহমুদুল্লাহ বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে গেলে বাংলাদেশের ষষ্ঠ উইকেটের পতন হয়। জংয়ের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে মাহমুদুল্লাহ ৩ বলে ৭ রান করেন।
এরপর ব্যাট করতে নামে এই ম্যাচেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া নুরুল হাসান। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় সংগ্রহে ২৯ রান যোগ করে জয় নিশ্চিত করে সাকিব। শেষ পর্যন্ত সাকিব ২০ ও নুরুল হাসান ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৭৯ রানের ইনিংস খেলা জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন।