সাবাস-খাঁটি বাংলাদেশী স্বর্ণকণ্যা মাবিয়া’র জন্যে ভারতীয়দেরও ভালবাসা
আনন্দবাজার অবলম্বনে সাইফুল বারী মাসুম : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন শুধু বাংলাদেশর স্বর্ণকন্যা মাবিয়ার কান্নার ভিডিও। এসএ গেমসে দেশের জন্য স্বর্ণপদক পাওয়ার পর আবেগ ধরে রাখতে পারেন নি তিনি। জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে অঝরে কেঁদে চলেন মাবিয়া। তার এই ভিডিও মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে।
আর এবার ভারতীয়দেরও অন্তর ছুঁতে সমর্থ হলেন বাংলাদেশের এই সোনার কন্যা। মাবিয়ার কান্না খুব করেই স্পর্শ করেছে তাদের। এই নিয়ে ‘ কাঁদলেন মাবিয়া, এই বঙ্গকন্যা এখন ভারতের হৃদয়ে’ শিরোনামে সংবাদ করেছে ভারতের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা।
সংবাদের বর্ণনাটি ছিল এরকম- পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে হাপুস নয়নে কাঁদছিল মেয়েটি। সামনে তখন উঠছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। ব্যাকগ্রাউন্ডে জাতীয় সঙ্গীত, ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’। এতদিন তো তার নাম তেমনভাবে কেউ শোনেইনি। কে এই মেয়ে? তার চোখের জলের সঙ্গে ততক্ষণে মিশে গিয়েছে পুরো গ্যালারির আবেগ।
আরও বলা হয়, গুয়াহাটিতে চলছে সাউথ-এশিয়ান গেমস। সেখানেই বাজিমাত বঙ্গকন্যার। যে বাংলাদেশ সারাক্ষণ ডুবে থাকে ক্রিকেটে। সেখান থেকে একটু আধটু প্রচার পায় ফুটবল। বাকি খেলা বাংলাদেশে না থাকার সামিল। সেখান থেকেই বিশ্ব মঞ্চে বাজিমাত মাবিয়া আক্তারের। সাউথ-এশিয়ান গেমসে দেশকে ভারোত্তলনে এনে দিলেন প্রথম সোনা। একজন মেয়ে তাও আবার ভারোত্তলনের মতো খেলায়। এটাই বা কম কি? আবেগটা সেই সোনার মেয়ের দেশকে সোনা এনে দেয়ার।
সংবাদে বলা হয়, পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে জাতীয় পতাকার দিকে তাকিয়ে স্যালুট করছিলেন মাবিয়া। চোখে অঝোর ধারা। গলায় সোনার মেডেল চকচক করছে। বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে নতুন খেলার উত্তরণ হল কি না তা ভবিষ্যতই বলবে। কিন্তু সাউথ-এশিয়ান গেমসে ছাপ রেখে গেলেন এই মেয়ে।
তাঁর কান্না বলে দিল কতটা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে থেকে এই সব খেলায় উঠে আসতে হয়। যেখান থেকে উঠে এসে এই সাফল্য বাংলাদেশের ক্রীড়ায় পরিবর্তন আনতে পারে। অন্যান্য খেলায় এখন মাবিয়াই সেরা বিজ্ঞাপন। দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে এই দৃশ্য বহুদিন মনে রাখবে মানুষ। হয়তো আরও মানুষ এগিয়ে আসবে অন্য খেলায় মাবিয়ার পথ অনুসরণ করে।