• মঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

সাবাশ তারানা হালিম-এরকম মন্ত্রী যদি সবাই হতো..


প্রকাশিত: ১০:৪৭ পিএম, ২৭ মার্চ ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৩ বার

 

আসমা খন্দকার :   মুখ ঢেকে সিম নিবন্ধনের লাইনে দাড়িয়ে গ্রাহকদের উৎসাহ উদ্দিপনা সমস্যা নিজেই দেখলেন তারানা হালিম।তাঁর এই প্রক্রিয়ায় Tarana halim-www.jatirkhantha.com.bdভুক্তভোগীরা আপ্লুত! তাঁরা বললেন-সাবাশ তারানা হালিম-এরকম মন্ত্রী যদি সবাই হতো..।

মুখ ঢেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিজের মোবাইল সিম পুনঃনিবন্ধন করলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।রোববার বিকালে ফার্মগেট গ্রামীণফোন সেন্টারে আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে প্রায় ২০ মিনিট লাইনে অপেক্ষার পর নিবন্ধনের সুযোগ মেলে এক সময়ের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর। অবশ্য নিবন্ধনের সময় নাম দেখে প্রতিমন্ত্রীকে চিনে ফেলেন কাস্টমার কেয়ারের কর্মীরা।

পরে তারানা হালিম সাংবাদিকদের বলেন, “গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়ছেন কিনা তা দেখতে এসেছিলাম। কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই আমি সিম পুনঃনিবন্ধন করলাম। যারা এখানে আছেন তাদের উৎসাহ-উদ্দীপনাটাও দেখলাম। ভালো লাগল।”এ সময় গ্রামীণফোন সেন্টারে আসা এক গ্রাহক তারানা হালিমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, রাজধানীতে সিম নিবন্ধনে অর্থ আদায় করা না হলেও মফস্বল এলাকায় তা নেওয়া হচ্ছে।জবাবে তারানা হালিম বলেন, “সিম নিবন্ধনে টাকা আদায় করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ইতোমধ্যে ৩০ জন রিটেইলারের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে।”

আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সিম পুনঃনিবন্ধন শেষ করা যাবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিলের পর সিম কিছু সময় বন্ধ রেখে বার্তা পৌঁছে দেব যে আপনার সিমটি নিবন্ধিত হয়নি। পর্যায়ক্রমে পরে বন্ধ করে দেব।”সম্প্রতি তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নাগরিকদের আঙুলের ছাপ নিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধন কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।এর পরই সিম পুনঃনিবন্ধনে গ্রাহকদের উৎসাহ ভাটা পড়ে বলে জানিয়েছে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে তারানা বলেন, “নাগরিকদের আঙুলের ছাপ কোনোভাবেই সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। আঙুলের ছাপ নিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর যুক্তি আদালতে উপস্থাপন করা হবে।”সিম নিবন্ধনে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রযুক্তিগত তথ্যের কাছে প্রপাগান্ডা টিকতে পারে না। নাগরিকের নিরাপত্তর জন্য নিবন্ধন করছি।”

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে মোবাইল ফোন অপারেটররা সেরকম প্রচারণা চালাচ্ছে না মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “পাবলিসিটি ঠিক মত হলে প্রপাগান্ডা এতো প্রকট আকার ধারণ করত না। অপারেটররা বায়োমেট্রিক ডিভাইসে বিনিয়োগ করেছেন, যা করছেন তারা লাভ ছাড়াই করছেন। তাদের বেশি চাপও দিতে পারছি না।”

করপোরেট মোবাইল সিম পুনঃনিবন্ধনে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “করপোরেট সিমের ক্ষেত্রে আমরা প্রেফার করছি ব্যক্তিগত নিবন্ধন করা, যখন মালিকানা বদল করবেন তখন আবার নিবন্ধন করবেন। এক্ষেত্রে অ্যাগ্রিমেন্ট থাকবে, একজনের কাছ থেকে আরেকজনের কাছে কীভাবে সিমটি যাচ্ছে।”

পরে একই এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইলে ফোন অপারেটর টেলিটক কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে প্রতিমন্ত্রী অপর একটি সিম পুনঃনিবন্ধন করেন।গত ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হয়।