• শুক্রবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

সাবাশ তামিম বাঘের বাচ্চা-হারলো আফ্রিদি


প্রকাশিত: ১০:৪০ পিএম, ২ ডিসেম্বর ১৫ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯৯ বার

Tamim-Iqbal-www.jatirkhantha.com.bdস্পোর্টস রিপোর্টার: সাবাশ তামিম বাঘের বাচ্চা-হারলো আফ্রিদি। ডাউন দ্য উইকেটে প্রথম বলেই তেড়েফুঁড়ে এলেন তামিম ইকবাল। ব্যাট হাতে আজ রুদ্রমূর্তি তামিমের। অফসাইডে চার! বুঝিয়ে দিলেন সিলেটের সঙ্গে বোঝাপড়াটা এখনো বাকি। প্রথম ওভারেই তিন তিনটি চার মেরে যে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইনিংসজুড়েই সেটার প্রভাব রইল। সঙ্গী তিলকরত্নে দিলশানও তাণ্ডবে মেতে ওঠায় সিলেট অসহায় আত্মসমর্পণ করল। ১০ উইকেটে সিলেট সুপার স্টারসকে হারাল চিটাগং ভাইকিংস। তামিমের কাছে হারলেন শহীদ আফ্রিদিও।

Afridi-www.jatirkhantha.com.bdআজ বিপিএলে প্রথম খেলতে নেমেছিলেন আফ্রিদি। নেমেই ৪১ বলে ৬২। মূলত তাঁর ব্যাটে চড়েই ৯ উইকেটে ১৩৯ রান তুলেছিল সিলেট। প্রথম ছয় ম্যাচের পাঁচটাতেই হেরে যাওয়া চট্টগ্রাম পারবে কি না, সেই সংশয় যেন শুরু থেকেই মুছে দিতে শুরু করেন তামিম। সঙ্গী দিলশানও দিলেন দারুণ সঙ্গ।

দুজনই ছিলেন ৬৭ রানে অপরাজিত। ৫১ বলের ইনিংসটাতে আটটি চার মেরেছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম। ৪৬ বলের ইনিংসে ৬টি চারের পাশাপাশি তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে ফর্মে ফিরেছেন দিলশান। টুর্নামেন্টে উইকেটের দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় জয়টাও তুলে নিল তামিমের দল।

১৪০ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন তামিম-দিলশান। ৪.২ ওভারেই ৫০ রান তুলে ফেলেন দুজনে মিলে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে আসে ৬৯ রান! একটু পরেই ম্যাচের ফল নিয়ে সন্দেহটা দূর হয়ে যায়। বরং আগ্রহ ছিল শুধু বিষয় নিয়ে। ফিফটিকে আগে পাবেন আর দুই ওপেনার মিলেই ম্যাচ জিতিয়ে আসতে পারবেন কি না। প্রথমটির উত্তর মিলল ১০.৫ ওভারে।

সোহেল তানভীরকে এক্সট্রা কভার দিয়ে চার মেরে নিজের ফিফটি আর দলের ১০০—দুই পূরণ করেন তামিম। ৪৮ রান নিয়ে অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে তখন দিলশান। একটু পরে দিলশানও পেয়ে গেলেন বিপিএলের এ আসরের প্রথম ফিফটি। দুজনেই মিলেই যখন ম্যাচ শেষ করলেন, তখনো খেলার ২৩ বল বাকি!

এর আগে খেলার প্রথম ভাগটি ছিল আফ্রিদিময়। শহীদ আফ্রিদিকে কেন্দ্র করে সিলেট দলটি সাজানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল টুর্নামেন্ট শুরুর বহু আগেই। সেই আফ্রিদি দলে যোগ দেওয়ার আগেই পাঁচটি ম্যাচ খেলে চারটিতেই হেরেছিল সিলেট। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ছয় ম্যাচের পঞ্চম হারটি দেখলেন দলে যোগ দিয়েই।

আফ্রিদি অবশ্য নেমেই দলকে বাঁচিয়েছিলেন বিপর্যয়ের হাত থেকে। চার ওভারের মাঝেই মাত্র ২২ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল সিলেট। সেখান থেকেই দলকে বিপদমুক্ত করার কাজে নামেন আফ্রিদি। কিন্তু উল্টো দিক থেকে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল থামছিল না।
ফলে ১০.৩ ওভারেই মাত্র ৬৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় সিলেট। এরপরই পাল্টা আক্রমণের শুরু। সোহেল তানভীরকে সঙ্গী করে মাত্র ৩৬ বলেই ৬০ রানের জুটি গড়েন আফ্রিদি, নিজেও পেয়ে যান ফিফটি।তবে নিজের ফিফটির জন্য চট্টগ্রামের ফিল্ডারদের ধন্যবাদ দিতেই পারেন তিনি। তাঁরা ক্যাচ হাতছাড়ার মহড়া না শুরু করলে মাত্র ২৫ রানেই আউট হয়ে যেতেন আফ্রিদি।

পরে যার ফল দিতে হয়েছে আফ্রিদির ঝড়ের মুখে পড়ে। এক সময় তো মনে হচ্ছিল বড় এক স্কোরই গড়তে যাচ্ছে সিলেট। কিন্তু মাত্র পাঁচ বলের ব্যবধানে আফ্রিদি-তানভীর দুজনেই আউট হয়ে গেলে স্বপ্নটা শেষ হয়ে যায় সিলেটের। আফ্রিদিকে ফিরিয়ে তাঁরই স্বদেশি মোহাম্মদ আমিরের উল্লাসটি ছিল দেখার মতো। তবে শেষ পর্যন্ত তৃপ্তির হাসি হাসলেন তামিমই।