সাবাশ টাইগার মুস্তাফিজ-আইপিএলে খেলে জিতলেন জয় করলেন সারা বিশ্ব
আসমা খন্দকার : শেন ওয়াটসনকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর মুস্তাফিজকে ঘিরে ছিল সতীর্থদের উল্লাস।এই উল্লাস আর থামাতে পারেন বেঙ্গালুর..। এরপর জাদুকর মুস্তাফিজের কাটার জাদুতে আর কোমর তুলতে পারেনি বেঙ্গালুরের ব্যাটসম্যানরা। ফলে শেষ হাসি হেসেছে হায়দারাবাদ।
শেষ টুর্নামেন্টজুড়ে এ রকম অনেক মুহূর্ত উপহার দিয়ে আইপিএলের এ আসরের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন মুস্তাফিজ l
এ যেন এলেন, খেললেন, জিতলেন! তবে মাঠে নামা নিয়েই সংশয় ছিল মুস্তাফিজুর রহমানের। ম্যাচ শুরুর আগেই অবশ্য ফেসবুকে মুস্তাফিজ জানালেন, খেলছেন তিনি। খেললেন, জিতল তাঁর দলও।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৮ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আইপিএল শিরোপা জিতে নিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
ফাইনালটি অবশ্য হয়েছে ঠিক ফাইনালের মতোই। শেষ ওভার পর্যন্ত ছিল টানটান উত্তেজনা। শেষ ৫ ওভারে বেঙ্গালুরুর প্রয়োজন ছিল ৫১ রান, হাতে ৭ উইকেট। এ অবস্থায় হায়দরাবাদের পক্ষে বাজি ধরার লোক ছিল না খুব বেশি।
তবে ম্যাচসেরা বেন কাটিংয়ের করা ১৫তম ওভারে ঘুরে গেল ম্যাচের ভাগ্য, ৪ রানে নিলেন ১ উইকেট। পরের ওভারে কাঁটা হয়ে থাকা ওয়াটসনকেও ফেরালেন মুস্তাফিজ। শেষ চার ওভারে মুস্তাফিজ ও ভুবনেশ্বর কুমার দিলেন মাত্র ৩৮ রান। এই দুজনের বোলিংই নিশ্চিত করে দিল আবারও নিশ্বাস ফেলা দূরত্ব থেকে খালি হাতে ফিরতে হবে বেঙ্গালুরুকে।
অথচ ২০৯ তাড়া করতে নেমে ১০.২ ওভারে বিনা উইকেটেই ১১৪ রান করে ফেলেছিল বেঙ্গালুরু। ৩৮ বলে ৭৬ রান করে গেইল ফেরার পরই মড়ক লাগে বেঙ্গালুরু ইনিংসে। একটু পরে ফেরেন বিরাট কোহলি (৫৪) ও এবি ডি ভিলিয়ার্স (৫)।
এর আগে ৩৮ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৯ রান করে বড় স্কোরের ভিত্তি এনে দিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। সেই ভিত্তি কাজে লাগিয়েছেন কাটিং, ১৫ বলে ৩৯ রানের ঝড় তুলে তিনিই দলকে নিয়েছেন ২০৮ রানের নিরাপদ দূরত্বে।