• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সাত সাংবাদিক পেলেন পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড


প্রকাশিত: ৫:৩৫ পিএম, ১২ জুলাই ১৭ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩০৯ বার

স্টাফ রিপোর্টার  :  সাত সাংবাদিক পেলেন পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড । পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৬-১৭ family planing award-www.jatirkhantha.com.bdপ্রাপ্তরা হলেন, দৈনিক যুগান্তরের সহ-সম্পাদক রীতা ভৌমিক, জনকণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নিখিল মানখিন। আঞ্চলিক এ দৈনিক কালবেলার প্রতিনিধি মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, ইলেকট্রনিক মিডিয়া টিভি রিপোর্টিং – ডিবিসি নিউজ এর রিপোর্টার তাহসিনা সাদেক জেসি, ইলেকট্রনিক মিডিয়া-রেডিও – বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা উপ-আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ ফখরুল করিম, যুগ্মভাবে কমিউনিটি রেডিও চিলমারী, কুড়িগ্রাম এর প্রযোজক মোঃ কামরুল হাসান পলাশ, বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা এর উপপরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে একটি ক্রেস্ট, সনদপত্র ও পঞ্চাশ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করা হয়।

ঢাকার ওসমানী মিলনায়তনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০১৭ উদযাপন অনুষ্ঠানে ‘কুড়িগ্রামে চরাঞ্চলের প্রসূতিদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে যত কথা’ প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার পান দৈনিক যুগান্তরের সহ-সম্পাদক রীতা ভৌমিক। পুরস্কার তুলে দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তারই নির্দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। এর ফলে দেশে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা কমেছে। নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীদের যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মক্ষমতা বন্টন করা হচ্ছে। উচ্চবিত্ত পরিবারে সন্তান সংখ্যা কম। তাদের পরিবার ছোট হয়।

কিন্তু নিম্নবিত্ত পরিবারে জনসংখ্যা বেশি। তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সম্প্রতি চিকনগুনিয়া নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখা হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব ছিল মশা নিধনের। এরপরও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয় রেডিও ও টেলিভিশনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে প্রচারণা করেছে। গতকাল পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০১৭ উপলক্ষে এক র‌্যালিরও আয়োজন করে। ‘পরিবার পরিকল্পনা জনগণের ক্ষমতায়ন, জাতির উন্নয়ন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারের জনসংখ্যা দিবস ২০১৭ পালিত হলো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমানে দেশে ১.৩৭ হারে জনসংখ্যা বাড়ছে। মাতৃমৃত্যু হার ১৭০। শিশু মৃত্যুহার ৩৮ থেকে ৪০ এর মধ্যে রয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেছি।পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী মোস্তফা সারোয়ার জানান, দেশে ৬১ শতাংশ কিশোর-কিশোরী রয়েছে। সঠিক কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে।

ইউএনএফপি এ বাংলাদেশ এর স্বাস্থ্য প্রধান ড. সাথিয়া দুরাইস্বামির মতে, সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে নারী সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার অনুশীলন করলেই তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। অর্থনৈতিকভাবেও উপকৃত হবেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খান, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সরদার আবুল কালাম। এছাড়া বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০১৭ উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কর্মী ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। আলোকচিত্রী মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু ।