• শনিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৪

সাত সকালে আদালতে ধরা দিয়ে এমপি রানা লালঘরে


প্রকাশিত: ১২:৩০ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৩২ বার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি  :   সাত সকালে আদালতে ধরা দিয়ে জামিন চাইলেও এমপি রানাকে কারাগারের লালঘরে পাঠানো amanur-www-jatirkhantha-com-bdহয়েছে।আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাংসদ আমানুর রহমান খানের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ রোববার সাতসকালে টাঙ্গাইল আদালতে হাজির হন সাংসদ আমানুর। কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই তিনি টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ঢুকে পড়েন। তিনি পলাতক ছিলেন।আত্মসমর্পণ করার পরে আমানুরের পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চান।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের বক্তব্য শেষে বিচারক আবুল মনসুর আহমেদ জামিন নামঞ্জুর করে আমানুরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সময় আদালতে মামলার বাদী নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। আমানুর টাঙ্গাইল ৩ আসনের সাংসদ।
faruk-mardarer-www-jatirkhantha-com-bd
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ টাঙ্গাইলে তাঁর কলেজপাড়া এলাকার বাসার সামনে পাওয়া যায়। ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। প্রথমে থানার পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত শুরু করে।

২০১৪ সালের আগস্টে এই মামলার আসামি আনিছুল ইসলাম ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেপ্তার হন। আদালতে তাঁদের স্বীকারোক্তিতে সাংসদ আমানুর ও তাঁর তিন ভাইয়ের এ হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। এরপর থেকে সাংসদ ও তাঁর ভাইয়েরা আত্মগোপনে আছেন।

এ বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সাংসদ আমানুর ও তাঁর তিন ভাইসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ৬ এপ্রিল আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক আমানুরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

১৭ মে এই ১০ জনের বিরুদ্ধে হুলিয়া ও মালামাল জব্দ করার নির্দেশ দেন আদালত। ২০ মে পুলিশ সাংসদ ও তাঁর তিন ভাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মালামাল জব্দ করে, তবে সেখানে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না। সর্বশেষ ১৬ জুন আদালত আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। সাংসদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি চিঠি দিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে জানানো হয়।