সাত খুনের আসামিদের বিচারের আওতায় আনা হবে-প্রধানমন্ত্রী
শাকিল আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নারায়ণগঞ্জে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই খুঁজে বের করা হবে। এ লক্ষ্যে তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছেন। কথা বলার একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে আপ্লুত হয়ে পড়েন চন্দন সরকারের স্ত্রী অর্চনা সরকার। এ সময় প্রধানমন্ত্রী চন্দনের পরিবারকে সান্ত্বনা দেন।
শাকিল বলেন, ‘ঘটনা ঘটার পরেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে প্রশাসন এবং র্যাব-পুলিশকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকার নীরব বসে থাকেনি।’
শাকিল বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে অর্চনা সরকার বলেছেন, ‘আপনি স্বজন হারানোর বেদনা বহন করছেন। আপনি জানেন স্বজন হারানোর ব্যথা কী। আমাদের বিশ্বাস আপনিই পারবেন এই বিচার নিশ্চিত করতে।’ তবে গণভবনের মূল ফটকে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপের বিষয়ে জানতে চাইলে চন্দন সরকারের পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।
সাক্ষাত্কালে চন্দনের স্ত্রী ছাড়াও তাঁর মেয়ে সুস্মিতা সরকার ও সেঁজুতি সরকার; জামাতা রঞ্জিত দেবনাথ ও বিজয় কুমার পাল এবং তাঁদের সন্তানেরা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবদুস সোবহান শিকদার উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আগামী বুধবার নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা।