সাগর উত্তাল- সেন্ট মার্টিনে আটকা শতাধিক পর্যটক। ঝুঁকি নিয়ে ফিরেছেন ৪২ পর্যটক
বিশেষ প্রতিবেদক. ঢাকা: সেন্ট মার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের মধ্যে ৪২ জন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনটি মাছ ধরার ট্রলারে করে আজ টেকনাফে ফিরে এসেছেন। এখনো সেখানে শতাধিক পর্যটক আটকে আছেন। লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় দুদিন ধরে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সেন্ট মার্টিনে থেকে ফেরত আসা দুজন পর্যটক জানান, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এফবি রাফিউল নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ৩০ জন পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এক শিশু ও চারজন নারী। উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে ট্রলারটি দুপুর আড়াইটা দিকে টেকনাফ পৌঁছায়। এখনো শতাধিক পর্যটক সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বিভিন্ন হোটেল ও কটেজে অবস্থান করছেন।
সেন্ট মার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আব্দুল কাইয়ুম জাতিররকন্ঠকে জানান, সাগর উত্তাল থাকলেও নিজেদের উদ্যোগে ঝুঁকি নিয়ে তিনটি ট্রলারে করে ৪২ জন পর্যটক টেকনাফ ফিরে গেছেন। আরও পর্যটক সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বিভিন্ন হোটেল ও কটেজে অবস্থান করছেন। জাহাজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। টেকনাফ থেকে জাহাজ সেন্ট মার্টিন এসে আটকে পড়া পর্যটকদের টেকনাফে ফিরিয়ে নেবেন।
টেকনাফের কায়ুকখালীয়া ঘাটে কয়েকজন পর্যটক বলেন, তাঁদের কাছে সেন্ট মার্টিনে অবস্থান করার মতো টাকা ছিল না। তা ছাড়া ফেরার তাড়া ছিল। তাই জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। পারাপারের সময় অনেকে বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বুধবার সকালে তাঁরা টেকনাফ থেকে জাহাজ ও ট্রলারে করে সেন্ট মার্টিন বেড়াতে গিয়েছিলেন।
টেকনাফ কায়ুকখালীয়া ঘাটের ইজারাদারের উসুল আদায়কারী মো. শামসুল আলম জানান, শুক্রবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সেন্ট মার্টিন থেকে এফবি রাফিউলে ৩০; এফবি শহীদ ও এফবি রাসেলের ছয়জন করে সর্বমোট ৪২ জন পর্যটকসহ তিনটি ট্রলার এসেছে এবং টেকনাফ থেকে দুপুরের দিকে ২০ জনের মতো স্থানীয় বাসিন্দা ও মালামাল নিয়ে একটি ট্রলার সেন্ট মার্টিন গেছে।
পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম জানান, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত শুক্রবার সাড়ে ১০টার দিকে কেটে গেলেও সাগর উত্তাল থাকায় সেন্ট মার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে যাওয়া সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শনিবার আটকে পড়া বাকি পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হবে।