• মঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

সাগরের খুনী আক্কাস আলী পাকরাও


প্রকাশিত: ৩:৫২ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ১৭ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২৬ বার

গৌরিপুর প্রতিনিধি :  ময়মনসিংহের গৌরীপুরে চুরির অভিযোগে কিশোর সাগরকে পিটিয়ে হত্যার প্রধান আসামি boy sagor-www.jatirkhantha.com.bdআক্কাস আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার ভোর রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের শম্ভুপুর রেলক্রসিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-১৪ এর কমান্ডিং অফিসার নাজমুল আরেফিন বলেন, আক্কাসকে গ্রেপ্তার করে সকালে ময়মনসিংহে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে আক্কাস র‌্যাব হেফাজতে রয়েছেন।

এর আগে গেলো মঙ্গলবার ও বুধবার এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন গৌরীপুর উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার রিয়াজ উদ্দিন (৩০) ও ফজলুর রহমান (৪০)। সম্প্রতি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের চরশ্রীরামপুরে পাম্প চুরির অভিযোগে সাগর (১৬) নামে এক কিশোরকে খুঁটিতে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে গাউছিয়া মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রের মালিক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। নিহত সাগর ময়মনসিংহ শহরের নাটঘরলেন এলাকার সিহাব উদ্দিনের ছেলে।

২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে গাউছিয়া মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রের কাশবন থেকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ওই মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রের মালিক পলাতক ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুরে গাউছিয়া মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রের একটি পানির মটর (পাম্প) চুরির অভিযোগে সাগরকে আটক করে হ্যাচারির মালিক আক্কাছ আলী।

এরপর আক্কাছ আলী ও তার সহযোগী কাইয়ুমসহ হ্যাচারির লোকজন কিশোর সাগরকে খুঁটিতে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন চালায় এবং পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় সাগর কয়েকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পানি খেতে চাইলেও তাকে পানি দেয়া হয়নি। এরপর সাগরকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এরপর গাউছিয়া মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রের মালিক ও কর্মচারীরা তার মরদেহ হ্যাচারির পাশের কাশবনে ফেলে অফিসে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়।

স্বজনরা জানিয়েছিলেন, সাগর একটি ভ্যান নিয়ে পরিত্যক্ত জিনিস কুড়ানোর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। ওই রাতে সে বাড়ি না ফেরায় তিনি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেন। পরে রাতেই ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় বিষয়টি জানান। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সাগর দ্বিতীয়। বোন বড়। বাবা ফেরিওয়ালা। রেললাইনের বস্তিতে পাঁচজনের সংসার ছিল তাদের।

চর শ্রীরামপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, পানির মেশিন চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে মারধর করে ওই হ্যাচারির মালিক আক্কাস আলী ও তার লোকজন। বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে তাকে নির্মমভাবে মারধর করায় ওই কিশোরের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই নির্যাতনের ছবি প্রকাশ পায়।