• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশের প্রতিবাদে ২ দিন হরতাল


প্রকাশিত: ৯:৩৮ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ১৪ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৮৬ বার

 

 

delwar-hossain-saidi-2স্টাফ রিপোর্টার,ঢাকা:
সুপ্রিম কোর্টের আাপিল বিভাগে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার ও আগামী রোববার সারা দেশে হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী। দুই দিনই ভোর ছয়টা থেকে পরদিন ভোর ছয়টা পর্যন্ত এ হরতাল হবে। একই সঙ্গে আগামীকাল শুক্রবার সাঈদীর জন্য ‘দোয়া’ ও পরদিন শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভের কর্মসূচি দিয়েছে দলটি।
আপিল বিভাগের রায় ঘোষণার দুই ঘণ্টার মাথায় গতকাল বুধবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে এক যৌথ বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

ঘোষিত কর্মসূচি ‘গণতান্ত্রিক’ ও ‘নিয়মতান্ত্রিক’ পন্থায় এবং ‘শান্তিপূর্ণ’ উপায়ে পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের ব্যাপারে দলীয় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দাবি করা হয়, দেলু শিকদার নামের কুখ্যাত রাজাকারের অপকর্মের দায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ওপর চাপানো হয়েছে। বিচার-প্রক্রিয়ার প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
জামায়াতের দুই নেতা বলেন, সরকারের সাজানো ‘মিথ্যা’ মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতেও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে তাঁকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ রায় বহাল থাকলে কোটি কোটি জনতার প্রাণপ্রিয় এ মানুষটিকে জেলের ভেতরেই ইন্তেকাল করতে হবে। একজন নিরপরাধ মানুষের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই তা মেনে নেওয়া যায় না।
সাঈদী এ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করবেন জানিয়ে বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয়, সেখানে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন।
বিবৃতিতে জামায়াতের দুই নেতা দাবি করেন, ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত সাঈদী কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা, কাল্পনিক ও বায়বীয়’ অভিযোগে সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ মামলা করে। এ মামলায় তাঁকে ফাঁসানোর জন্য বেলজিয়াম থেকে জনৈক জিয়াউদ্দীনের পাঠানো খসড়ার ওপর ভিত্তি করে অভিযোগ গঠন করা হয়।

১৬ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির না করে তাঁদের জবানবন্দিকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়। স্কাইপ কেলেঙ্কারির পর সংশ্লিষ্ট বিচারক পদত্যাগ করলেও তাঁর দায়িত্বকালে নেওয়া জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে ট্রাইব্যুনালে রায় প্রদান করা হয়। ১৯৭২ সালে ইব্রাহিম কুট্টির স্ত্রী মমতাজ বেগমের করা মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি আদালতে জমা দেওয়ার পরও তা আমলে নেওয়া হয়নি।