‘সহমর্মিতা পেতে বিএনপি’র ককটেল হামলা’
রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ভোটারদের সহমর্মিতা পাওয়ার জন্য বিএনপিই পরিকল্পিতভাবে তাদের নিজেদের নির্বাচনী পথসভায় ককটেল বোমা হামলা চালায়। হামলায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা মতিউর রহমান মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার এ তথ্য জানান।
রোববার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার বলেন, একটি ফোনালাপের সূত্র ধরে রাজশাহী বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, ফোনালাপে যে কণ্ঠস্বরটি শোনা যায় সেটি তারই। মিন্টু আরও জানায়, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন ব্যাহত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং ভোটারদের সহমর্মিতা পাওয়ার জন্য তারা নিজেরাই পরিকল্পিতভাবে তাদের নির্বাচনী পথসভায় বোমা হামলা চালায়।
তিনি জানান, ফোনালাপে মিন্টু বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত ও জাভেদ নামের দুজনের কথা বলেছেন। এছাড়া নাটোর বিএনপির এক নেতার কথাও বলেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা হচ্ছে না।
ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপের অডিও কিপ্ল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর রাজশাহীতে বিএনপির নির্বাচনী পথসভায় বোমা হামলায় জড়িত সন্দেহে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মিন্টুকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।অডিওতে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘ভাইকে (তারেক রহমান) খুশি করতে নাটোর (রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু) এবং বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটিয়েছে।’ অডিওর এই কণ্ঠটিকেই মন্টু নিজের বলে স্বীকার করেছে— এমনটাই দাবি করছে পুলিশ।
এদিকে ফাঁস হওয়া এই ফোনালাপের বিষয়ে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ফোনে বলেন, ‘মন্টুর মুখ থেকে এ ধরনের কথা আসাটা দুঃখজনক। এটা তার ভয়েস নাও হতে পারে। আর আমাকে ইঙ্গিত করেছে এটা সত্য নয়, সে নাটোর বলেছে, নাটোর মানেই আমি নই।’
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাজশাহী সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের নির্বাচনী পথসভায় মুখোশধারীরা ককটেল হামলা চালায়। ককটেল বিস্ফোরণে আহত হন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বাংলাভিশনের স্টাফ রিপোর্টার পরিতোষ চৌধুরী আদিত্য ও স্থানীয় ব্যবসায়ী স্বপন কর্মকার। তবে হামলার সময় বিএনপির মেয়র প্রার্থী বুলবুল সেখানে ছিলেন না।