• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

সর্বত্র বাংলা ভাষা প্রচলনের নির্দেশ


প্রকাশিত: ৬:০৭ পিএম, ২৯ এপ্রিল ১৪ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৭৫ বার

নিজস্ব প্রতিবেদক: সর্বত্র বাংলা ভাষা প্রচলনের নির্দেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে ১৫ মের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে বিবাদীদের দাখিল করা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আদালত বলেন, ‘আদেশের সম্মতি পূরণ দেখে মনে হয়, প্রতিপক্ষ একে অপরকে চিঠি প্রেরণ ছাড়া বাংলা ভাষা প্রচলন বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই…।’ আদালত বলেন, ‘সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বাংলা ভাষা প্রচলনের বিষয়ে কোনো আগ্রহ নেই।’

এ অবস্থায় আদালত গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দেওয়া রুলের আদেশ পালনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার ও জনপ্রশাসন সচিবকে পক্ষভুক্ত করার আদেশ দেন।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এক মাসের মধ্যে দেশের সব সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ির নম্বর প্লেট, সরকারি দপ্তরের নামফলক (দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও তত্-সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) এবং ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ইংরেজি বিজ্ঞাপন ও মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে অবিলম্বে আদালতকে অবহিত করতে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আদালত রুলও জারি করেন। আদালতের নির্দেশনা অনুসারে মন্ত্রিপরিষদসচিব ও তথ্যসচিবের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন দাখিল করেন রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত্ রায়। এ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আদালত ওই আদেশ দেন বলে জানান বিশ্বজিত্ রায়।

আপডেট: ১৫:২১, এপ্রিল ২৯, ২০১৪-
 

গাড়ির নম্বরপ্লেট, সাইনবোর্ড বাংলায় লিখতে নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
 
ইংরেজিতে থাকা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিজ্ঞাপন, গাড়ির নম্বরপ্লেট, সব ধরনের সাইনবোর্ড ও নামফলক বাংলায় লেখার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন অনুসারে সব ক্ষেত্রে অবিলম্বে বাংলা ভাষা ব্যবহারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দিয়েছেন আদালত।
বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানির পর সোমবার এ রুল দেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও সংস্কৃতিসচিবকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ব্যবহারে কার্যকর ব্যবস্থা প্রবর্তনের নির্দেশনা চেয়ে গত রোববার রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। গতকাল রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায়।
বিশ্বজিত রায় বলেন, ইংরেজিতে থাকা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিজ্ঞাপন, গাড়ির নম্বরপ্লেট, সব ধরনের সাইনবোর্ড, ব্যক্তিগত নামফলক বাংলায় লেখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এক মাসের মধ্যে এগুলো বাংলায় পরিবর্তন করে নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন ১ এপ্রিলের মধ্যে চার বিবাদীকে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বাংলা ভাষায় লেখা রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদ এবং বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭-এর ৩ ধারা অনুসারে সর্বত্র তথা সরকারি অফিস, আদালত, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের (বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যতীত) সব ক্ষেত্রে ও চিঠিপত্র, আইন-আদালতের সাওয়াল-জবাব এবং অন্যান্য আইনানুগ কার্যাবলি অবশ্যই বাংলায় লিখতে হবে। ১৯৮৭ সালের ৮ মার্চ আইনটি পাস হয়। কিন্তু ২৬ বছরেও আইনটি অনুসরণ করা হচ্ছে না।আপডেট: ০১:১৯, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৪