সর্বকালের সেরা মেসি জাদুর গোপন রহস্য
আসমা খন্দকার : সর্বকালের সেরা মেসি জাদুর গোপন রহস্য অবশেষে ফাঁস হয়েছে।জাদুকরী এক ফ্রি কিক থেকে গোল করে গোলের রেকর্ডে বাতিস্তুতাকে টপকে যাওয়া মেসি’র এই রহস্য তার বোঝাপড়া। দলকে এগিয়ে নিতে মে মেসি নিজের জন্য কখনও ভাবেননি। ভেবেছেন দরের সকলের কথা।আজ বুধবার সকালে টেক্সাসে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে
মেসি তা দেখিয়েছেন।
শুধু গোলে মেসির পরিচয় নয়, মেসি গোল করে-করিয়েই ম্যাচের ভাগ্য ঠিক করে দেন। আজও লাভেজ্জির করা ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই দুর্দান্ত হেডের গোলটি তাঁর দারুণ এক পাস থেকে। ম্যাচের শেষ গোলটিও তাঁর বানিয়ে দেওয়া।
ভাষ্যকারের কথা শেষ হয়েছে কি হয়নি, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্যি করে দিলেন লিওনেল মেসি। মাঝারি দূরত্বের অবিশ্বাস্য এক ফ্রি কিক। যেন কাঁটা কম্পাস দিয়ে মেপে নেওয়া পথ ধরে গোলরক্ষককে অসহায় দর্শক বানিয়ে ঢুকে গেল জালে।
টুর্নামেন্টে নিজের পঞ্চম গোল। আর সেই গোল দিয়েই গড়লেন ইতিহাস। হয়ে গেলেন আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা গোলদাতা। পেরিয়ে গেলেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে। ব্যক্তিগত অর্জনের এই রাতে মেসির দল আর্জেন্টিনাও যুক্তরাষ্ট্রকে ৪-০ হারিয়ে উঠে গেছে ফাইনালে।
প্রীতি ম্যাচের দুটি গোল ফিফা বাতিল করায় বাতিস্তুতার গোল সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪-তে। কোয়ার্টার ফাইনালেই বাতিগোলের রেকর্ডটা ছুঁয়েছিলেন মেসি। আজ পেরিয়ে গেলেন দীর্ঘদিন এই রেকর্ডে বাতিঘর হয়ে থাকা বাতিগোলকেও।
বাতিগোল, বাতিস্তুতাকে আদর করে দেওয়া ভক্তদের ডাকনাম। কোপা আমেরিকা শুরুর আগে বাতিস্তুতার চেয়ে চার গোল পেছনে ছিলেন মেসি। পানামা ম্যাচে ১৯ মিনিটে হ্যাটট্রিকের পর কোয়ার্টার ফাইনালে দলের তৃতীয় গোলটি করেন। ৬০তম মিনিটে করা গোলটাই মেসিকে বসিয়ে দেয় বাতিস্তুতার পাশে।
জেরার্ডো মার্টিনো বলেছিলেন, তিনি চান না রেকর্ডটার জন্য মেসিকে বেশি অপেক্ষা করতে হয়। কোচের কথা রাখলেন মেসি। আজ ৩২ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে করা সেই মায়াবী গোলেই ভাঙলেন রেকর্ড। এমন রেকর্ড ভাঙার জন্য এর চেয়ে সুন্দর গোল আর হয় না!
আরও গোটা দুই গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন মেসি। ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে ডানে ঝাঁপিয়ে তাঁকে গোলবঞ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক। আর্জেন্টিনা অনায়াস জয় পাচ্ছে দেখে সেভাবে গোলের ক্ষুধাটা ছিলও না।
না হলে ভার্গাসের কাছ থেকে আবারও টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার মুকুটটাও নিয়ে নিতে পারতেন মেসি। কোয়ার্টার ফাইনালে এক ম্যাচেই চার গোল করে চিলির ভার্গাসের গোল এখন ছয়টি, এক গোল পেছনে আছেন মেসি।
শুধু গোলে মেসির পরিচয় নয়, মেসি গোল করে-করিয়েই ম্যাচের ভাগ্য ঠিক করে দেন। আজও লাভেজ্জির করা ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই দুর্দান্ত হেডের গোলটি তাঁর দারুণ এক পাস থেকে। ম্যাচের শেষ গোলটিও তাঁর বানিয়ে দেওয়া। গোলমুখ থেকেও নিজে শট না নিয়ে বেশি সুবিধাজনক জায়গায় থাকা গঞ্জালো হিগুয়েইনকে বল বাড়িয়েছেন।
নিজে গোলের চেষ্টা করলেও সমস্যা হতো না। আর্জেন্টিনা নিশ্চিত জয়ের দিকেই যাচ্ছে। তবু মেসি নিজের গোল বাড়িয়ে নেওয়ার কথা ভাবলেন না। মেসি এটাই! এবারের কোপা আমেরিকায় মেসির গোল পাঁচটি, অ্যাসিস্ট চারটি। আর আসল মঞ্চ ফাইনাল তো পড়েই রইল।
নাম ম্যাচ গোল
লিওনেল মেসি ১১২ ৫৫
গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা ৭৮ ৫৪
হারনান ক্রেসপো ৬৪ ৩৫
ডিয়েগো ম্যারাডোনা ৯১ ৩৪
সার্জিও আগুয়েরো ৭৬ ৩৩