সরকার বিব্রত-ক্ষুদ্ধ বাবা-আমি বিচার চাইনা
এস রহমান: নিহত দিপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও বিশিষ্ট লেখক আবুল কাসেম ফজলুল হক। ছেলে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ, হতাশ এই বাবা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কোনো বিচার চাই না। আমি চাই শুভবুদ্ধির উদয় হোক। যাঁরা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ নিয়ে রাজনীতি করছেন, যাঁরা রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন, উভয় পক্ষ দেশের সর্বনাশ করছেন। উভয় পক্ষের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। এটুকুই আমার কামনা। জেল-ফাঁসি দিয়ে কী হবে।’
কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত—জানতে চাইলে জাগৃতি কার্যালয়ের সামনে আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘বিষয়টা অত্যন্ত স্পষ্ট। লালমাটিয়ায় যারা হামলা করেছে, তারাই দীপনকে হত্যা করেছে। অভিজিৎ দীপনের বন্ধু ছিল। ওর বইও দীপন বের করেছে। তবে সে ধর্মের বিরুদ্ধে কখনো লেখেনি। কোনো উসকানিও দেয়নি। কখনো কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেনি। কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত শত্রুতাও নেই।’
রাতে এই দুই হামলার দায় স্বীকার করেছে আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের বাংলাদেশ শাখা—আনসার আল ইসলাম। নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্টে এই বিবৃতি দিয়ে এ দায় স্বীকার করা হয়।এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক প্রবীণ অধ্যাপক অজয় রায়ের ছেলে অভিজিৎ রায়কে একই কায়দায় হত্যা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) বাইরের ফুটপাতে। সেই হত্যায় জড়িত কাউকে আট মাসেও ধরতে পারেনি পুলিশ।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, এ ঘটনায় সরকার বিব্রত। তবে আগুন-সন্ত্রাস সরকার যেমন দমন করতে পেরেছে, তেমনি এ ধরনের নাশকতা ও পরিকল্পিত হত্যাও সরকার বন্ধ করবে।