সরকার গণমাধ্যমকে কখনোই নিয়ন্ত্রণ করতে চায় না-প্রধানমন্ত্রী
এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় প্রেসক্লাবকে আন্তর্জাতিক মানের প্রেসক্লাব করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, এ জন্য যত রকম সহযোগিতা প্রয়োজন তিনি দেবেন।
সাংবাদিকরা দাবি করেন তাদের আবাসন সুবিধা এবং কল্যাণ ট্রাস্টে অর্থ বাড়ানোর বিষয়ে। এর প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা বলেন, আমার কাছে দাবি করার প্রয়োজন হয় না। কল্যাণ ট্রাস্টের চিন্তা করতে হয়নি, আমি নিজস্ব চিন্তা থেকেই করে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ সব সময় সাংবাদিকদের কথা চিন্তা করে, আর সাংবাদিকরা বেশি করে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে। অবশ্য সমালোচনা ভাল এটা আমাদের দৃষ্টিকে প্রসারিত করে।
এ সময় দেশের উন্নয়নে সরকারের কথা তলে ধরে তিনি বলেন, স্বাধীনতার উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করাই এ সরকারের লক্ষ্য। মূল লক্ষ্য বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা। আমরা যখনই ক্ষমতায় এসেছি তখনই আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি করা হয়েছে। আমরা দারিদ্র্য কমিয়ে ২২ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। অতি দারিদ্র্য মানুষের হার ৭ দশমিক ৯ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আমরা চলতে চাই না। বাংলাদেশের সম্মানে আঘাত করে কেউ কিছু বললে আমার সহ্য হয় না। দেশে মানুষ হত্যার রাজনীতি যারা করতে চায়, তাদের আর এসব করতে দেওয়া যাবে না। মানুষ পুড়িয়ে কেউ কোনো দিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
ইফতারের বেশ খানিকক্ষণ আগেই তিনি সেখানে উপস্থিত হন এবং সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত অতিথিদের সঙ্গে কথা হয় প্রধানমন্ত্রীর। তারাও শেখ হাসিনাকে কাছে পেয়ে আলাপে মেতে ওঠেন। ইফতারের আগে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া-মোনাজাত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বিরোধীদলীয় নেতারা, কূটনীতিক, সংসদ সদস্য, সাংবাদিক নেতারাসহ ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।